বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মনোমুগ্ধকর এই অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শণী’র উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, “আমরা আগে এসব টিভিতে দেখেছি। কিন্তু সরাসরি চোখে দেখার আলাদা একটা অনুভূতি। অ্যাক্রোবেটিক শোতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, যা মানুষকে যেমন আনন্দদান করে, তেমনি শিশুদের শেখারও বিষয় রয়েছে। জেলা পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে ও সুষ্ঠু বিনোদন ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে অ্যাক্রোবেটিক শো করা প্রয়োজন।
প্রত্যেকটি শিশুকে জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বেড়ে ও গড়ে উঠতে হবে, যাতে আগামীতে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসতে পারে। এজন্য শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিনোদনেরও প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সুষ্ঠু বিনোদন ছড়িয়ে দিতে অ্যাক্রোবেটিক শোর আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমে বাংলা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধকে নতুন প্রজন্মকে চেনানো ও তুলে ধরার জন্য আগামীতেও এর আয়োজন করা হবে।”
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমানউল্লাহ-আল-হাদী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি নাসরিন খান লিপি ও ঢাকার অ্যাক্রোবেটিক’র টিম লিডার ইতিহাস প্রমুখ।
দম আটকানো শারীরিক কসরত। একচুল এদিক-ওদিক হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। তাসের ওপর তাস নয়, এ তো দেহের ওপর দেহ সাজানোর খেলা। একের শরীরে অন্যজন ভর দিয়ে তৈরি করছে নানা দৃশ্য প্রতিরূপ, জ্যামিতিক আকার। মনোমুগ্ধকর আয়োজন শ^াসরুদ্ধকর অনুভূতিরই জন্ম দিল সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির দর্শকদের মনে। চীনা অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী দর্শকদের অনেকেরই দেখা। কিন্তু এবার এদশের অ্যাক্রোবেট শিল্পীরাই প্রমাণ দিলেন, তারাও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বড় ও ছোট শিল্পীরা অ্যাক্রোবেটিক শোতে অংশ নেন। একের পর এক চোখ ধাঁধানো কসরত চলছিল মঞ্চে। নানা ধরনের অপূর্ব সাধারণ খেলা ও শরীরচর্চায় মুগ্ধতা বিরাজ করে পুরো অনুষ্ঠানস্থলে।
শিল্পমাধ্যম সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ অ্যাক্রোবেটিক শিল্পসমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত ও মর্যাদাপূর্ণ। জেলা পর্যায় থেকে হারিয়ে যাওয়া অ্যাক্রোবেটিক শো দেখতে অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় করে শিশু-নারীসহ নানা বয়সের দর্শনার্থী। মুহুর্তের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যায়। চলে তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি। জমজমাট অ্যাক্রোবেটিক শো দেখে চোখের পাতাও ফেলতে পারেনি দর্শকরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই অ্যাক্রোবেটিক দল আক্ষরিক অর্থেই সাতক্ষীরার দর্শকদের মন জয় করে নিল।” সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন।