সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বৃহত্তম বিলকাজলা মৌজায় অবস্থিত সরকারী সম্পত্তিসহ, সাধারনের ব্যবহার্য্য খাল, ব্রীজ ও জনপথ জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে যে কোনন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখা করছে এলাকাবাসী।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বিলকাজলা মৌজার ১৮৬ দাগের জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা ,হুমকির মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রিজ, দোকানপাট সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। ১৮৬ দাগের ১৯ একর ৫৭ শতক জমির মধ্যে সন্যাসীরচক ,কাজলা,বাবুরাবাদ,ভাঙনমারী ,আটশত বিঘা,আদর্শ গ্রাম, জায়দানগর ,কলুর আবাদ, বৈরাগীরচক ,চিংড়াখালী,কুমড়াকাটি এলাকার সংযোগ সড়কের ব্রিজটি অবস্থিত। এই মকুন্দ নদীর সংযোগস্থল ত্রেমোহনীর উপরে অবস্থিত ব্রিজের তল দিয়ে দেবহাটার পারুলীয়া ,নওয়াপাড়া ইউনিয়ন সহ আস্কারপুুর নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর ,কাজলা এর পানি সরবরহের একমাত্র ব্যবস্থা যেটি জনস্বার্থে ব্যবহৃত হয়।
কুমড়াকাঠি,বৈরাগীরচক জায়দানগর এলাকার পানি সরবরহের মকুন্দ নদী এই বছরই নলতা ইউপি চেয়্যারম্যানের মাধ্যমে পুনঃখনন করা হয় । এই খালের দুইধার দিয়ে ভরাটকৃত জমির উপরে জমিদার এর প্রজা মরহুম হাজী কফিলউদ্দীন এর বংশধর সহ ৪৪ পরিবার সরকারি ভাবে ডিসিআর কেটে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসরতদের করে আসছে। এই দাগের উপর আবুল কাশেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ কাজলা কাশিবাটি অঞ্চলের একমাত্র শশানঘাট অবস্থিত সহ বেলেডাঙ্গা হ্যাচারী ও বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। দীর্ঘ্য ৪০ বছরের উদ্ধে খাল ভরাটের শেখ আব্দুর রাজ্জাক গং ও মৃত এশারাত গং ৪টি রাস্তার সংযোগস্থলে পাকা দোকানঘর গড়ে তোলে এবং অত্র এলাকার সর্বজন পরিচিত এই দোকানঘর সহ স্কুলের জায়গা এবং এই সকল জনহিতকর জায়গা দখল করার জন্য বহুল আলোচিত ভুমিদস্যু নজরুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম দিগর এলাকার শান্তিভঙ্গ করার চেষ্টা করছে । যেহেতু সরকারি ভিপি তালিকাভুক্ত জায়গাটি জজ কোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় আছে অতএব জায়গাটির জবর দখলকারী নজরুল ও শহিদুল দিগরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জনস্বার্থে ব্যবহৃত রাস্তা ,খাল ,ব্রিজ ,শ্বশানঘাট ,স্কুলসহ ৪৪ টি পরিবার হুমকির মুখে থাকায় জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের উদ্ধতন দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে নলতা ইউপি চেয়্যারম্যান আজিজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন “ আমি এই খালটি খনন করেছি ” এই বছরেই। এখন পরিকল্পিতভাবে জবর দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা আইনসিদ্ধ নয়। ভুমিহীন নেতা মোশারাফ হোসেন বলেন বৈরাগীর চক, চিংড়ী খালি, কুমড়ো কাটি, ভাঙ্গান মারি এলাকার পানি নিস্কাশনের একমাত্র মুকুন্দ নদি ও চলাচলের রাস্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্রিজ শশান ঘাট রক্ষাতে জেলা প্রসাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভুমিহীন নেতা মোহাম্মাদ আলি বলেন আমাদের এলাকার একমাত্র স্কুলে ভুমিহীন জনপদের বাচ্চারা লেখা পড়া করেন, সেটি রক্ষাতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।