ঘূর্ণিঝড় “অশনি” মোকাবেলায় সাতক্ষীরা উপকুলে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশসন সম্মেলন কক্ষে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা দূর্যোগ ব্যবস্তাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্দ হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের ২৮৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহন করতে পারবেন। এর মধ্যে শ্যামনগরে ১৮১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহন করতে পারবেন। আশাশুনিতে ১০৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহন করতে পারবেন। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ পর্যাপ্ত সুপেয় পানি। উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিতে ২ হাজার ৯৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া প্রস্তুত রয়েছে ৮৬ টি মেডিকেল টিম। জেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ থেকে বরাবরের মত দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় “অশনি’ মোকাবেলায় উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরায় যাতে কোন ধরনের জান মালের ক্ষতি না হয় সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাতক্ষীরার হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে হালকা দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে এই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি ডিভিশনে (শ্যামনগর ও আশাশুনির) ৪৪ টি পয়েন্টে সাড়ে ৮ কি.মি. বেঁড়িবাধ চরম ঝুঁকির মধ্যে। ঘূর্নিঝড় যশ ও আম্ফানের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো ঘূর্নিঝড় অশনি নিয়ে উপকুলীয় এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে যেন এক অজাানা আতংক বিরাজ করছে।
সাতক্ষীরার আবহায়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, উপকুলীয় এলাকায় বর্তমানে ২ নং সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, এটি আজ সকাল ৬ টায় মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কি.মিটার দূরে দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। যা ভারতের অন্ধ প্রদেশে আঘাত আনতে পারে। তবে দিক পরিবর্তন হলে সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তা ততক্ষনে দূর্বল হয়ে পড়বে।