চুরির অভিযোগে আটককৃত এক ব্যক্তি হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ১৪ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত ১৬ আগষ্ট সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তাকে সাতক্ষীরা শহরের পাকাপুলের পার্শ্ববর্তী শ্যামা ইলকট্রিকের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
সাতক্ষীরা শহরের মাষ্টারপাড়ার আব্দুল বাছিত জানান, গত ৮ আগষ্ট রাতে তার বাড়ির গ্রীল কেটে চুরি সংগঠিত হয়। চার চক্রের সদস্যরা বাচ্চাদের জমানো টাকার বাক্সসহ ব্যবহারিক জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি থানায় কোন অভিযোগ না করলেও তাদের পাড়ায় পরবরর্তীতে কয়েকটি চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে তার আত্মীয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ বিষয়টি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। সে অনুযায়ি কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান ১৫ আগষ্ট তার বাড়িতে এসে চুরির ব্যাপার জানতে চান।
মাষ্টারপাড়ার মমতাজ বেগম জানান, তার ভাই ফারুক হোসেন শহরতলীর বাঁকাল দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে অবস্থান করলেও পুরাতন পাসপোর্ট অফিসের মোড়ে ডাব ও আঁখ বিক্রি করার সুবাদে মাষ্টারপাড়ায় অবস্থানরত প্রথম স্ত্রী কারিমুনেছার কাছে দুপুরে খেতে আসতো। ১৬ আগষ্ট সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির শিক্ষানবীশ উপপরিদর্শক সঞ্জীব সমাদ্দার শহরের পাকাপুলের পাশে শ্যামা ইলকট্রিকের সামনে থেকে চা পান করা অবস্থায় আটক কর। রাত ৯টার দিকে তাকে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়িত হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখতে দেখেন তিনি। এ সময় ডিউটিতে ছিলেন সিপাহী এমদাদ হোসেন। রাত ১১টার দিকে শিক্ষানবীশ উপপরিদর্শক সঞ্জীব ফারুকের প্রথম স্ত্রী কারিমুনেছা ও তার বাড়িতে যেয়ে জানান যে ফারুক হাতকড়া নিয়ে রাত ১০টার দিকে পালিয়ে গেছে। পুলিশ কারিমুনেছার ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। পরবরর্তীতে শিক্ষানবীশ উপপরিদর্শক সঞ্জীব সমাদ্দার তার বাড়িতে এসেও ফারুকের কাছ থেকে হাতকড়া এনে দেওয়ার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করে।
তবে পুলিশ ফারুককে গ্রেপ্তার করতে ফারুকের আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়।
তবে শহরের মাষ্টারপাড়া কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ফারুকের বাবা মোতালেব পুলিশ চাকুরি করার সুবাদে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার জয় গ্রাম থেকে একবারেই সাতক্ষীরার কাটিয়া আমতলায় বসবাস শুরু করেন। ফারুকের ছোট ভাই সোহাগ বর্তমান বকচরা এলাকায় বসবাস করে। ফারুকের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে।
সাতক্ষীরার কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির শিক্ষানবীশ সঞ্জীব সমাদ্দার শনিবার বিকালে এ প্রতিবেদককে জানান, ফারুককে ধরার জন্য সব ধরণের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। সীমান্তে বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। ফারুককে ধরতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি।