সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরী মা হয়েছেন। কিশোরীটির একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব করেছে। বর্তমানে মা ও সন্তান উভয়ই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মিলছে না তার বাবার সন্ধান। পুলিশ খুঁজছে এই সদ্যজাত সন্তানের বাবা কে ?
মানসিক ভারসমস্যহীন কিশোরীর নাম মাধবী আক্তার (১৪)। তার তথ্যমতে তাদের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামে। বাবার নাম শ্যামপদ। এছাড়া আরও এক পাগলী কিশোরী হাসপাতালে সন্তান জন্মদানের অপেক্ষায় রয়েছে। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম দেওয়া কিশোরী কালিগঞ্জের মাছ বাজার ও বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘোরাফেরা করতো।
কালিগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ তৈয়বুর রহমান জানান, কালিগঞ্জ বাস টার্মিনালে এলাকায় রাস্তার পাশে প্রসব বেদনায় ছটফটে করছিল ওই কিশোরী। ঘটনাটি দেখে গত ১৭ আগস্ট স্থানীয় একজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। ভর্তির পর ওই দিনেই তার একটি কন্যা সন্তান প্রসব হয়। ফুটফুটে সন্তানটিকে ওই পাগলী মহারানি বলে ডাকছে। মূলত ওই কিশোরী মানুসিক ভারসম্যহীন রোগী। তার নাম পরিচয় যেটি বলেছে সেটিও নিশ্চিত নয়। তিনি আরো জানান, গত ১২ দিনে আগে সন্তনটি জন্মানোর পর হাসপাতালে থেকেই তাদের খাদ্য খাবার, ওষধপত্রসহ সার্বিক দেখাশুনা করা হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়া আরেকটি মানষিক ভারসাম্যহীন তরুনীকে ২৪ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করছে স্থানীয়রা। তিনিও গর্ভবতী। যে কোন সময় তারও সন্তান প্রসব হবে। তবে এই তরুনীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। এই পাগলীকে নিয়ে আমাদের হিসসিম খেতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময় হাসপাতালের বেড ছেড়ে এখানে সেখানে চলে যাচ্ছে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাছাড়া এই ঘটনায় কারো জড়িত সে ব্যাপার খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। জড়িতদের খোঁজ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আরো জানান।