সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পল্লীতে এগারো বছর অসুস্থ্য ঘরবন্দি আমিরুল মানবেতর জীবন যাপন করছে। পলিথিন দিয়ে ছাউনী জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে তার বসবাস। প্যারালাইস্ড হয়ে পঙ্গু অবস্থায় গত হয়েছে আমিরুলের এগারো বছর। সে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়পত্রকাটি গ্রামের দিনমজুর মোহাম্মাদ আলী গাজীর পুত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আমিরুল তার জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরে চেয়ারে বসেই ধর্মীয় বই পড়ছেন। অসুস্থ থাকায় তিনি পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রাখতে পারেন না। তবে বসে বসেই নামজ ও কোরআন তেলাওয়াত করেন। মাঝে মাঝে মোবাইল ফোন মেকানী কাজ করে থাকেন আমিরুল ইসলাম। সেখান থেকে মাসে দই তিন হাজার টাকা আয় হয়। কিন্তু অস্বচ্ছল পরিবারের আমিরুলকে প্রতি দুই মাস পরপর রক্ত নিতে হয়। প্রতিদিন ঔষধ খাইতে হয় ৫৫/৬০ টাকার। সবমিলে দান অনুদানে সংসার ও চিকিৎসা খরচে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার। তাছাড়া একটু বৃষ্টি এলেই ঘরে পানি পড়ায় বাড়তি দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয় হতভাগ্য আমিরুলের। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহ পাবার জন্য দাবী করেছেন। এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আমি দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। এখনো পর্যন্ত আমার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে আমার থাকার ঘরের অবস্থা খুবই নাজুক পরিবারের সবাইকে কষ্ট করে থাকতে হয়। পরিবার নিয়ে থাকার জন্য ঘরটা মেরামত খুবই প্রয়োজন। কিন্তু অচলাবস্থায় আমার একার পক্ষে চিকিৎসা ও ঘর মেরামত সম্ভব নয়। আমি আমার পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী,ও মেয়ে নিয়ে মারবেতর জীবন যাপন করছি। গত শীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদ্য সহায়তা ও কম্বল দিয়েছিলেন। এরপর থেকে আমি আর সাহার্য্য পায়নি।