সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়া জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিতের ঘটনায় প্রতিবাদসহ দ্রুত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে তালা ডাকবাংলায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তালা সরকারী কলেজের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক ও জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি এস ক কামরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এস কে কামরুল ইসলাম বলেন, তালার জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। আমার পিতা মৃত শেখ আব্দুল মালেক প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আমিও একাধীকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪ টায় অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ২ জন সভাপতি প্রার্থী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ভোটারবৃন্দ, সাংবাদিকসহ তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত সকলের সামনে প্রধান শিক্ষক হাফিজুল ইসলামকে আক্রমণাত্মক ও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি কেন ঘন ঘন স্কুলে যাই তার কৈফিয়েত চেয়ে হুমকিও দেন অপর সভাপতি প্রার্থী ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপী। এ ব্যাপারে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানের নিরব ভূমিকা এবং নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবী করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মাত্র ৯টি ভোটারের ভোট অল্প সময়ের মধ্যে গ্রহণ করা সম্ভব হলেও শিক্ষা কর্মকর্তার রহস্যজনক ভূমিকার কারণে হতাশ অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাছে দ্রুত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি করেন।
এদিকে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে সভাপতি প্রার্থী ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপী বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষককে লাঙ্গিত করেননি। তার সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।