সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি উপজেলার সকল ইউনিয়নের ন্যায় শোভনালীতে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোন রকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারচুপির কোন অভিযোগ নির্বাচনকালীন সময় বা নিকটতম পরবর্তী সময়ে পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে শোভনালীর ৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালত (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল) এ অভিযোগ দায়ের করেন পরাজিত প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন (বিদ্যুতিক পাখা প্রতীক)। বিজয়ী প্রার্থী মোজাম্মেল মোল্যা (ফুটবল) সহ এলাকার বহু মানুষ, জনপ্রতিনিধি, নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জানান, ভোট গ্রহনের দিন কেন্দ্রে অভিযোগকারী প্রার্থীর এজেন্টসহ দায়িত্বরত সকলেই উপস্থিত ছিলেন। যথানিয়মে সকলের উপস্থিতিতে বোট গণনা করা হয়। গণনার পর ফুটবল প্রতীকে সর্বোচ্চ ৭৫৭ ভোট ও নিকটতম প্রার্থীর বৈদ্যুতিক পাখায় ৭০৭ ভোট প্রাপ্তির রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়। পরাজিত প্রার্থীর আবেদনে কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনা করা হয় এবং একই ফল পাওয়া যায়। এরপর এজেন্টেরদের স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এসময় ৯জন প্রার্থীর কেউই কোন অভিযোগ করেননি। রিটার্নিং অফিসার যথারীতি গণনার ফলাফলের একীভূমি বিবরনী স্বাক্ষর পূর্বক সরবরাহ করেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ২৭ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে বিজয়ী চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের শফতও সম্পন্ন হয়েগেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র একজন শাহাদাৎ হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। বিজ্ঞ আদালত সমন জারি করেছেন।
এব্যাপারে পরাজিত প্রার্থীর এজেন্ট আকির হোসেন জানান, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ভোট প্রথমবার গণনার তাদের কেন্দ্রে (বলাইপুর) ফুটবল প্রতীকে ৭৩৬ ও বৈদ্যুতিক ফান প্রতীকে ৭৬ ভোট পাওয়া যায়। তখন পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করলে গণনা করা হয় এবং একই ফলাফল হয়। এসময় সকল মেম্বার, মহিলা মেম্বার ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছিল। আমরা সবাই স্বাক্ষর করি। এখানে কোন কারচুপি, দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়নি।সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রিজাইডিং অফিসারদের দেওয়া ফলাফল কম্বাইন্ড করে ফলাফল পাবলিস্ট করা আমার দায়িত্ব। কেন্দ্রে একবার কাগজপত্র সীলগালা হয়ে গেলে সেটি খোলার ক্ষমতা আমাদের নেই।