তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে দায়েরকৃত স্ত্রীর মামলায় স্বামী সেনা সদস্য আসাদুজ্জামানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সাতক্ষীরা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক বিচারক ইয়াসমিন নাহার উভয়পক্ষের আবেদন শুনানী শেষে তার জামিন না বাড়িয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামী আসাদুজ্জামান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে। আসাদুজ্জামান বর্তমানে যশোর সেনানিবাসে কর্মরত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামের আসাদুজ্জামানের সঙ্গে পাটকেলঘাটা থানার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের মেয়ে যাহীন সাইয়রার (সিয়াম)। গত বছরের ২৯ মার্চ ঘর ও শৌচাগার বানানোর জন্য আসাদুজ্জামান তার স্ত্রী সিয়ামকে তিন লাখ টাকা আনতে বলে। সিয়াম বিষয়টি তার বাবাকে জানালে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বসাবসি হয়। তাতেও সমস্যা সমাধান হয়নি।
একপর্যায়ে ৩১ মার্চ আবারো স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ওই টাকা আনতে বলে। বাধ্য হয়ে সিয়াম গত বছরের ১৩ জুন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতেদ যৌতুকের মামলা করেন আসাদের বিরুদ্ধে। আদালতের সমন পেয়ে গত বছরের ২৯ জুলাই আসাদুজ্জামান আদালতে হাজির হলে মীমাংসার শর্তে জামিন পান। এরপর পাঁচটি ধার্য দিনে একই শর্তে তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু মীমাংসা করতে ব্যর্থ হওয়ায় বুধবার বিচারক ইয়াসমিন নাহার তার জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদালত চত্বরে সেনা সদস্য আসাদুজ্জামান বলেন, তার বিরুদ্ধে যৌতুক চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এরপরও সিয়াম মীমাংসার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়ায় তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে জেলে যেতে হলো।
বাদিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২)। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. রেজোয়ান উল্লাহ সবুজ। অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২) সেনা সদস্য আসাদুজ্জামানের জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।