সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় হিজরী নববর্ষ ১৪৪২ পালন করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত আকারে ৭তম বার্ষিকী হিজরী নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পবিত্র কোরআন খতম, ফাতেহা শরীফ, মিলাদ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। হিজরী উৎসব উদযাপন পরিষদ (হিউউপ) এর আয়োজনে শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের বৃহৎ বসন্তপুর শাহী জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও বসন্তপুর মাসুমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওঃ মাহমুদুল হক রাজুর সঞ্চালনায় কোরআন ও হাদীসের আলোকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন বসন্তপুর বাইতুল মামুর জামে মসজিদে খতিব মাওঃ আব্দুর রহমান, বসন্তপুর পীর কাঁঙ্গালী (রঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওঃ মাহবুবুর রহমান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, ইসলামে হিজরী সন ও তারিখের গুরুত্ব অপরিসীম। হিজরী সন গণনার সূচনা হয়েছিল ঐতিহাসিক এক অবিস্ময়রণীয় ঘটনাকে উপলক্ষ করে।
তাছাড়া হিজরী সন এমন একটি সন, যার সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর রোজা, হজ্ব, ঈদ, শবে-বরাত, শবে-কদর, শবে-মেরাজসহ ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পৃক্ত। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও আনন্দ উৎসবসহ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম উম্মাহ হিজরী সনের অনুসারী। হিজরী বর্ষপঞ্জিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রিয় নবীজি (সাঃ) এর হিজরতের স্মৃতি। তাই হিজরী সন যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলেও আজকাল তা কেবল রমজান ও ঈদের হিসাব রাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, হিজরী সনের পহেলা মাস মহররম একের পর এক আমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয় ঠিক, কিন্তু হিজরী সনের শুভাগমন উপলক্ষে হইচই তেমন নেই! অথচ হিজরী নববর্ষকে গুরুত্বসহকারে আমাদের পালন করাই একান্ত কাম্য। পরে হিজরী নববর্ষের আলোচনা শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেফাজত, হেদায়েত, সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের আরোগ্য কামনা করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গুনাকরকাটী খায়রিয়া আজিজীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আলহাজ্ব হযরত মাওঃ মিজানুর রহমান। এসময় মসজিদের মুসল্লীবৃন্দ আখেরী মোনাজাতে অংশ নেন।