সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান শেখ জাকারিয়া ইবনে সাঈদ (শাওন) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। ঢাকা বার এসোসিয়েশনে যোগদানের মাধ্যমে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কর্মজীবন শুরু করেছেন তিনি।
কালিগঞ্জ উপজেলার বাজার গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য শেখ সাঈদ হোসেন ও গৃহিণী কানিজ জাকিয়া সুলতানার জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি মরহুম শেখ আহম্মাদ আলীর পৌত্র ও সাবেক (এমএলএ) মরহুম জি এম ওকলাত আলীর নাতি, শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহজ্জ আব্দুল মজিদ মোল্লার জামাতা এবং কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেনের ভাইপো ।
২০১৭ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে আইন শাস্ত্রে এলএলবি (সম্মান) ও ২০১৮ সালে একই বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এলএল.এম প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েড ডিপ্লোমা ইন জেনোসাইড স্টাডিজ সম্পন্ন করেন। ঢাকা ল্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট থেকে ল্যান্ড সার্ভে কোর্স কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। গবেষণার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাডভান্সড কোর্স অন রিসার্চ মেথডলজি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় অ্যাডভান্স ট্রেনিং অন রিসার্চ মেথডলজি কোর্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক অধিকার জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে মাস্টার্স অফ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের উপরে পড়াশোনা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আইন শাস্ত্রে ভালো ফলাফলের সুবাদে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে তিনবার ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড ও তিনবার ডিন’স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। তিনি ২০০৯ সালে কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১১ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ খুলনা থেকে এইচএসসি সমাপ্ত করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার সহধর্মিণী প্রকৌশলী মুসলিমা খাতুন মীম এস কে জাকারিয়া এন্ড এসোসিয়েটসে হেড অফ আইসিটি অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার এই নতুন পথ চলা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানত চাইলে তিনি বলেন, “প্রতিটি নাগরিক বিশেষ করে নিজ জন্মভূমি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মানুষের জন্য আইনী প্রতিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে চাই।” তিনি যেন আগামী দিনগুলোতে আপনাদের আইনী সেবা দিতে পারেন সেই জন্য সকলের দোয়া প্রার্থনা করেছেন।