প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করাসহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ শতাধিক গ্রামাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী তামান্না তানিয়া, স্থানীয় এলাকাবাসী ইমাদুল মোল্লা, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, রফিকুল মোড়ল, রহমত আলী, আনারুল মোল্লা, আলি জামান মোড়ল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম সানার ছেলে ও মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম গত ২১ নভেম্বর একই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শান্তা খাতুনকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করেন। শিক্ষককের এহন অনৈতিক কর্মকান্ড এলাকার সচেতন মহল বিক্ষুদ্ধে হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে মাদ্রাসাটির পরিচালনা পরিষদের সভায় এ ঘটনার জন্য ওই শিক্ষককে চাকুরী থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। অথচ ওই শিক্ষক খায়রুল ইসলাম গত ১০ বছর আগ গড়েরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের মেয়ে তামান্না তানিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তামান্নার পিতা ওহাব মোড়ল মেয়ের সুখের জন্য জামাই খায়রুল ইমলামকে বিভিন্ন সময় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার যৌতুক দিয়ে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করেন। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান আসলে দুই দফায় স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে সেই গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করেন শিক্ষক খায়রুল। এদিকে প্রথম স্ত্রী থাকা শর্তেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী তার উপর বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরা পারিবারিক আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন প্রথম স্ত্রী তামান্না তানিয়ার ভাই আজহারুল ইসলাম।
বক্তারা এ সময় মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইসলামের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিচার ও তাকে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান। একই সাথে তারা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে এর প্রতিকার দাবী করেন।