সাতক্ষীরার সিটি কলেজের প্রভাষক মামুন হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামী জেলা জামায়াতের সাবেক প্রচার সম্পাদক আলতাফ হুসাইনকে আটকের পর নারায়নগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১ এর সদস্যরা তাকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে নারায়নগঞ্জের রপগঞ্জের মধুখালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ শুক্রবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয় এই তথ্য জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আখতার। তিনি বলেন, আবাসন ব্যবস্থার নামে জমির দালালি ও প্রতারনার অভিযোগে আলতাফ হুসাইনকে র্যাব গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, আলতাফ হুসাইনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর সাতক্ষীরায় ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয়। এ সহিংসতায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক এবিএম মামুন হোসেনকে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ হত্যা মামলায় আসামী জামায়াত নেতা আলতাফ। এর আগে ও পরে তার বিরুদ্ধে আরও কমপক্ষে ১৩টি বিস্ফোরক ও নাশকতার কয়েকটি মামলা হয়। হত্যাসহ আরও কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, তিনি সরকারবিরোধী ষড়যন্র ও পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি ছাড়াও সহিংসতা এবং জেলাব্যাপী অবরাধ নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ মামলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতার মাধ্যমে সাতক্ষীরায় কমপক্ষে ১৭ জন নেতাকর্মীকে জামায়াত শিবিরের লোকজন হত্যা করে। তারা দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে সাতক্ষীরা শহর অভিমুখে উঠে আসতে থাকে। এসময় সার্কিট হাউজ মোড়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় জেলা জামায়াতের আলতাফ হুসাইন অন্যতম নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান তার নামে ৭টি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আজিজসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।