জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা একই পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে জখম করেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নাসিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারাত্মক জখম আমেনা খাতুন বর্তমান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাসিমাবাদ গ্রামের মাহবুবর রহমানের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৩২) জানান, বাড়ির পাশের বিল তাদের ২০ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। পাশেই রয়েছে প্রতিবেশি জমাত আলীর ঘের। জমির সীমানা (বেড়িবাঁধ) নিয়ে জমাত আলীর সঙ্গে তাদের (আমেনা) দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি জমাত আলী তাদের (আমনা) ঘেরের পাশৈর কিছু অংশ জুড়ে কেওড়া গাছ লাগান। এ নিয়ে তারা আপত্তি জানালে স্থানীয়ভাবে মাপ জরিপ করে মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ আগে উভয়পক্ষের আমিনের উপস্থিতিতে মাপ জরিপের একপর্যায়ে আগামী শুক্রবার আবারো মাপ জরিপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগেই গত মঙ্গলবার জমাত আলী জোরপূর্বক ওই কেওড়া বাগানসহ জমি বেড়া দিতে এলে তিনিসহ তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দছন। এ সময় জমাত আলী. তার স্ত্রী ফজিলা, তার মেয়ে তহমিনা, জামাই খোকন তাকেসহ স্বামী মাহাবুব, ভাসুরের ছেলে হাসান ও ইসলামকে পিটিয়ে জখম করে।
হামলাকারিদের লোহার রডের আঘাতে তার মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। স্বজনরা তাদেরকে উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে জমাত আলী জানান, ঘেরা দেওয়ার সময় বাঁধা দেওয়ায় তাদের দু’জনকে মারপিট করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তৈয়েবুর রহমান জানান, আমেনা খাতুনের মেরুদন্ডের হাড় ফেটে গেছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর জানান, এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।