সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে দুটি ইট চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও চুল কেঁটে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় গত ১০ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাতে কলারোয়া থানায় নির্যাতিতা গৃহবধু রাশিদা খাতুন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বাকী ৫ আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম আফছার আলী লদু (৫২)। তিনি দেয়াড়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত শওকত আলী গাজীর ছেলে।
পুুলিশ জানায়, গত ৮ আগস্ট রবিবার পাকুড়িয়া গ্রামের আফছার আলী লদুসহ তার পরিবারের সদস্যরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর স্ত্রী রাশিদা খাতুনকে দুটি ইট চুরির অভিযোগ দেয়। এরপর সকাল ৯ টার দিকে লদু রাশিদার বাড়িতে প্রবেশ করিয়া তাকে জাপটে ধরে। এ সময় তার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য রাশিদা ডাকচিৎকার করলে এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামী যথাক্রম পারভিনা খাতুন, মানছুরা খাতুন, রহিমা খাতুন, সায়মা খাতুন, শামিমা খাতুনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন তাকে জোরপূর্বক তার বাড়ি থেকে ধরে টানতে টানতে সায়মা খাতুনের বাড়ির সামনে ইটের সলিং রাস্তার পাশ মেহগুনি গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে এলোপাতাড়ী মারপিট করে ফোলা জখম করে। এক পর্যায়ে তারা কাঁচি দিয়ে রাশিদার মাথার চুল কেটে সৌদর্য্য নষ্ট করে। এছাড়া তার কানে থাকা স্বর্নের দুল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত ১০ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাতে কলারোয়া থানায় নির্যাতিতা গৃহবধু রাশিদা খাতুন বাদী হয়ে উক্ত ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৮, তাং-১০/০৮/২০২১ ইং।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, ইতিমধ্যে এ মামলার প্রধান আসামী আফছার আলী লদুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।