বিএসএফএর গুলিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাধীন হিঙ্গলগঞ্জ নিহত বাংলাদশি যুবক আব্দুর রাজ্জাকর লাশ মঙ্গলবার রাতেই বিএসএফ ফেরৎ দিতে চলেছে। তবে বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্প অথবা কালীগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে নিহতের স্বজদের লাশ ফেরৎ দেওয়ার সময় নিশ্চিত করা হয়নি।
কালীগঞ্জের কামদেবপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান সবুজ মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটায় এ প্রতিবেদককে জানান, বিএসএফ সকাল সাড়ে ১০টায় বসন্তপুর বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন ইছামতী নদীতে এস বিজিবি’র সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে। যদিও এ সময় বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে কি কথা হয়েছে তা তাদেরকে জানানো হয়নি। সন্ধ্যার পর বিজিবি তাদের বাড়িতে এসে আব্দুর রাজ্জাকের পরিচয় সম্পর্কে কাগজপত্র নিয়ে গেছে। রাত ১২টার মধ্যে রাজ্জাকের লাশ হস্তান্তর করা হতে পারে এমনটি বিজিবি’র পক্ষ থেকে তাদেরকে আশ্বস্হ করা হয়েছে।
তবে বিজিবি এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের কিছুই জানাতে চায়নি। এমন কি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয়রা লাশটি হস্তান্তর করবে কিনা সে সম্পর্কেও কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিজিবির বসন্তপুর বিওপির কমান্ডার সুবেদার খুরশীদ আলম।
উল্লেখ্য যে অবৈধপথে মাদক অথবা গরু আনার জন্য রবিবার সন্ধ্যার পর পাম্পের বালিশের সহায়তায় খোরহাট ও কামদেবপুরর মধ্যবর্তী ইছামতী সাঁতার দিয়ে ভারতে যান কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক ও একই গ্রামের আব্দুল গফফার ওরফে বাতেল। গভীর রাতে বিএসএফএর গুলিতে রাজ্জাক নিহত হন ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ থানার পথরদেবী নাথপাড়া গ্রামে। পালিয়ে যায় গফফর। বিএসএফ পরে রাজ্জাকের লাশটি নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাজ্জাকের পরিবার তার লাশ ফেরত পাবার জন্য বিজিবির বসন্তপুর ক্যাম্পে আবেদন করে। এ সময় থেকে লাশটির বিষয় বিজিবি বিএসএফএর মধ্যে চিঠি চালাচালির ঘটনা ঘটে।
এদিকে লাশ ফেরত আসছে এমন খবর পেয়ে নিহত রাজ্জাকের উদ্বিগ্ন বাবা রমজান আলি, চাচা হাবিবুর রহমান সবুজ, ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক সহ পরিবারের লোকজন বসন্তপুর ক্যাম্পের পাশে বেড়িবাঁধে রাত ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন।
তারা জানান, রাত ১২টার মধ্যে লাশ ফেরৎ পাচ্ছেন এমন আশায় তারা অপেক্ষা করছেন।