গাজীপুরের এলাকার পপুলার হসপিটালে ভুল অপারেশনে আরাফাত হোসেন নামে একশিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশু কালিয়াকৈরের উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মোঃ সাদ্দাম হোসেনের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও পপুলার হসপিটালের কর্মচারীরা জানান,গত ১০ জুলাই সকালে আরাফাত হোসেনকে ডান পায়ে রানের উপরের অংশে একটি ফোরা (ফুট) এর চিকিৎসার জন্য যান। সেখানকার নার্স ও মালিক পক্ষের লোকজন আরাফাত হোসেনের রাবা সাদ্দাম হোসেনকে একাধিক টেস্ট করার জন্য স্লিপ ধরিয়ে দেন। পরে সাদ্দাম হোসেন ৪-৫টা টেষ্ট ওই হসপিতালেই করে রিপোর্ট সেই কাউন্টারে জমা দেন। কাউন্টার থেকে তাকে বলা হয় ছেলের অপারেশন করতে হবে। সেই দিন রাতেই একজন নার্স আরাফাত হোসেনের ফোড়া অপারেশন করে সিটে থাকার জন্য ভর্তি করেন। সেই রাতেই আরাফাত হোসেন প্রচন্ড ব্যথায় চিৎকার করতে থাকে। এসময় বাবা সাদ্দাম হোসেন পাগলের মত কাউন্টারে গিয়ে বিষয়গুলো জানালে দায়িত্বরত নার্সরা শিশুকে ডোস দিতে অনুরোধ করেন। পরের দিন ১১ জুলাই সকালে আরাফাত হোসেন অচেতন হয়ে পড়ে। বিষয়টা বুঝতে পেরে সুকৌশলে হসপিটালের মালিক নজরুল ইসলাম ১৩ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দিয়ে আরাফাত হোসেনকে অক্সিজেন লাগিয়ে গাজীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু শিশু আরাফাত হোসেনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায়। এঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আত্নীয় স্বজনেররা ছুটে আসেন। পরে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে ১২ জুলাই বিকেলে গ্রামের বাড়ীতে আরাফাত হোসেনের দাফন সম্পন্ন করেন।
নিহত শিশুর বাবা সাদ্দাম হোসেন জানান, কোনাবাড়ী পপুলার হসপিটালের লোকজন আমার ছেলে আরাফাত হোসেনকে ভুল অপারেশন করে মেরে ফেলেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।
কোনাবাড়ি মেট্রো থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, এরকম একটি ঘটনা শুনেছি। নিহত শিশুর ময়নাত তদন্ত হয়েছে। তবে আমাদের থানায় কেউ আসেনি। রোগির অভিভাবক অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কোনাবাড়ী পপুলার হসপিটাল এর মালিক নজরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এটাতো অপারেশন করি নাই একটু ফাইরা দিছি। এখন আর কি করার?