সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বাঁশতলা বাজার সংলগ্নে কার্পেটিং সড়কের পাশে সরকারী সম্পত্তি দখল করে ভবন নির্মানের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষীন শ্রীপুর ইউপি সদস্য, ফতেপুর গ্রামের মৃত ছামসুর রহমান মেম্বরের পুত্র ভুমিদস্যু, পরসম্পদলোভী কামাল উদ্দীন সরদারের নেতৃত্বে খাস সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় তহশীলদার (নায়েব) নন্দ বাবু’র যোগসাজসে দুইতলা ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে শুক্রবারেও রাজমিস্ত্রি ও শ্রমজীবিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সারাদিন সেন্টারিং কাজ করিয়েছে। তহশীলদার নন্দ বাবু অর্থের বিনিময়ে একাজে সহযোগীতা করেছে। তিনি সরকারী খাসভুক্ত সম্পত্তি অনুকুলে নিতে গড়িমশি হরছেন। তারই যোগসাজসে সম্পুর্ণ পেশীশক্তির জোরে ডাবলুগং অবৈধভাবে দলীয় পরিচয় আর পেটুয়া বাহিনীর ভয় দেখিয়ে ফতেপুর মৌজার ৩৪৪ ও ৩৪৬ খতিয়ানের বিএস ১/১ খতিয়ানের ১৪১৭ দাগের মোট জমির মধ্যে সরকারী ১১ শতাংশ জমি জবরদখল করে তার উপরে বহুতল ভবন নির্মান করছে।
সরকারী মুল্যবান সম্পত্তি রক্ষার্থে জরুরীভাবে নির্মান কাজ বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। কামাল মেম্বর তার ভাই ডাবলু, চাচা জলিল সরদার, খলিল সরদার ও চাচাত ভাই সুমন সরদার গংরা এমনিভাবে নদী ও খালের চর, জড়ক ও জনপথের যায়গা দখল করে অনেক সম্পত্তির মালিকবনে গেছে।
এখনি পরসম্পদলোভী, ভুমিদস্যুদের প্রশাসনিক ভাবে দমন না করলে তাদের দ্বারা সরকারী সম্পত্তি বেদখল হতেই থাকবে। তারা বাঁশতলা বাজার ও বাঁশতলা মৎস্যসেট সহ বিভিন্ন এলাকায় সর্বক্ষণ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। খাস সম্পত্তি দখল করে চড়ামুল্যে এলাকার সহজ সরল মানুষদের নিকট বিক্রি করে থাকে। এমন প্রমান সরেজমিনে গেলেই অনেক মিলবে। তাদের ভয়ে এলাকায় কেহ মুখ খুলতে সাহস পায়না। তাদের হীন কর্মকান্ডে সহযোগীতায় সর্বক্ষণ সন্ত্রাসী ও পেটুয়া বাহিনী থাকে। লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে
ভুমিদস্য ডাবলু গংদের নির্মান কাজ বন্ধ এবং তাদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে সরকারের সংশ্লীষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবী জানান ভুক্তভোগী ও সচেতন জনগনের দক্ষীন শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন জাকির।