সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গুনাকরকাটি খাইরিয়া আজিজীয়া দরবার শরীফ এর হযরত শাহ আব্দুল আজীজ খুলনবী (রহঃ) জামে মসজিদ থেকে দানবক্স (লকার) ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অত্র মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা আনারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭.২০ মিনিটের দিকে আমি মসজিদ থেকে ছেলে-মেয়ে পড়িয়ে বের হওয়ার সময় দানবক্স (লকার) এর লক ভাঙা দেখতে পাই। তারপর বিষয়টি নাইট গার্ডসহ স্থানীয়দের জানানো হলে পরে দরজা খুলে অল্প কিছু খুচরা টাকা-পয়সা ছাড়া তার ভিতরে আর কোনকিছু পাওয়া যায়নি।
নাইট গার্ড আব্দুস সামাদ জানান, আমি প্রতিদিন রাতে মসজিদে ডিউটি করে থাকি। সোমবার দিবাগত রাতেও যথারীতি ডিউটি করেছি। এসময় আমি কোন চুরির ঘটনা দেখতে পাইনি। সকালে আমি ডিউটি শেষ করে বাড়িতে যাওয়ার পর আমাকে জনৈক সাইদুল ফোন দিয়ে এ চুরির ঘটনা জানান। পরে আমি এসে লকারের তালা ভাঙা দেখতে পাই। তিনি আরও জানান, আমি কখনো মসজিদ ও মাজার শরীফের দান বাক্স এ হাত দিইনি। এব্যাপারে কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী জানান, দরবার শরীফ মসজিদে চুরির ঘটনা শুনেই আমি ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে লকারটি ভাঙা দেখতে পাই। আমি মসজিদের খাদেম এর কাছে শুনেছি লকারটিতে টাকা দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। টাকা বাহির থেকে দেখা যেত। সে হিসাবে আমার ধারণা ২/৩ লক্ষ টাকা হয়তো লকারে ছিল। এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত দরবার থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। যেহেতু দরবার শরীফের বর্তমান হুজুর মোবারক দেশের বাইরে আছেন, সেহেতু পীরজাদাবৃন্দ ও আজিজীয়া ফাউন্ডেশন এর কর্মকর্তাবৃন্দসহ মুরব্বীরা যে নির্দেশনা দেন আমি সে অনুয়ায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে চোরকে শনাক্ত করার চেষ্টা করবো। এসময় তিনি দরবার শরীফ কম্পাউন্ড এর ভিতরের সকল প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসানোর আহবান জানান।
এব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে পীর হুজুরের আওলাদ আবু তাহের জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা আওলাদবৃন্দ একটি বৈঠক বসবো। বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে অনুযায়ী এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এদিকে, দরবার শরীফ এর মসজিদে চুরির ঘটনায় ইউনিয়নবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।