সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে তৃতীয় সপ্তাহের সপ্তাহব্যাপি লকডাউন। শুক্রবার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টির মধ্যে লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভাবে। চেকপোষ্টগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি কমে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা ১৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৫ টি করোনা পজিটিভ হিসেবে সনাক্ত হয়েছে। যা’ ৪৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিক করোনায় ১ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে চারজন।
এদিকে জেলাব্যাপী লকডাউনের মধ্যে ভারত থেকে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসার সময় সাতক্ষীরার তলুইগাছা ও কুশখালী সীমান্তে ১১ জনক আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিক আফতাব মোল্লা ও তার শিশু সন্তান রোহিনীকে বিএসএফ এর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সীমান্তে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত অন্য পাঁচ নারী হলেন চুয়াডাঙার ঝর্না বেগম, খুলনার রিজিয়া খাতুন, কিশোরগঞ্জের খাদিজা খাতুন, খুলনার কৃষ্ণা শীল ও খুলনার লাভলী বেগম। তাদের সাথ রয়েছে নাইমা ইসলাম ও ইয়াসমিন জাহান নামের দুটি শিশু। এছাড়া আরও রয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার সুমন মিয়া ও খুলনার ইয়াসিন সানা।
বিজিবির সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, তারা পাসপোর্ট ছাড়াই ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশ আসছিল। আটক দুই ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর নয় জনকে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরার পদ্মশাখরা ও কলারোয়ার সোনাবাড়িয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমন রোধে সাতক্ষীরা সীমান্ত বিজিবির কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে অবৈধ যাতায়াতকালে সাতক্ষীরা সীমান্তে ৬৫জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারি ও তিন জন পাচারকারিকে আটক করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি অধিনায়ক।