সাতক্ষীরা শহরের মানুষ অনেকটা ভোজন রসিক। আর তাই প্রতিদিন শহরের মানুষ বিভিন্ন ধরনের মুখোরোচো খাবার কিনতে খরচ করে হাজার হাজার টাকা। কিন্তু টাকা দিয়ে কিনে আনা স্বাধের খাবার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত এটা হয়ত আমরা কেউ ভেবেও দেখি না। কারণ, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। খাবার সামনে আসার পর সবাই খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। খারাপ ভালো পরে দেখা যাবে, আগে তো খেয়ে নেই। এজন্য অধিকাংশ সময় ভালো-মন্দ যাচাই বাছাই করার প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু এবার সেই খাবারের গুনগত মান নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৮-০৫-২০২১ ইং তারিখে এক ভদ্র মহিলা সাতক্ষীরা পোস্ট অফিসের পাশে সাতক্ষীরার প্রাক্তন পুলিশ সুপারের কার্যালয় অর্থাৎ পুরাতন আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থিত ঢাকা হাজী বিরিয়ানি থেকে দুপুরে খাওয়ার জন্য ০৩ (তিন) প্যাকেট চিকেন বিরিয়ানি কিনে বাসায় নিয়ে যায়।
বাসায় সেদিন রান্না হয়নি ভদ্রমহিলার। আর তাই নিজের সন্তানকে নিয়ে খেতে শুরু করেন সেই বিরিয়ানি। ভদ্র মহিলা অভিযোগ করেন তিনি খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ঐ বিরিয়ানি কিনে আনেন। ভাত ও ডিম নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও পঁচা মুরগির মাংস নিয়ে তিনি খুবই অস্বস্তি বোধ করেন।
এরপর তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় এবিষয়ে একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি বলেন যে, ঢাকা হাজীর বিরিয়ানি থেকে পঁচা মুরগির মাংসের বিরিয়ানি বিক্রি করছে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পোস্টটি বাংলাদেশ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্মানিত আহ্বায়ক ও দৈনিক আঁলোর যাত্রা’র নির্বাহী সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি’র দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি তৎক্ষণাৎ তার অফিসের জন্য সেই একই বিরিয়ানি কিনে আনেন এবং ভদ্রমহিলার কথার সত্যতা পান।
এরপর ঢাকা হাজী বিরিয়ানি’র কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কারো ফোন রিসিভ করে নি। এবং পরবর্তীতে নাম্বার বন্ধ করে দেয়।
মেহেদী হাসান রনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরোও বলেন, এই ধরনের হোটেল-রেষ্টুরেন্টগুলোর খাবারের গুনগত মান ও পরিবেশ উন্নত করার জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি।