গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর মেট্রো থানার জিরানি বাজারের তেতুইবাড়ী এলাকায় রোববার বিকেলে কেএসি ফ্যাশন নামক একটি কারখানার ভিতরে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমতাজ হােসেন মন্ডলের সাথে নিরাপত্তাকর্মীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসীও কারখানা কতৃপক্ষ জানান, ওই এলাকার কেএসি ফ্যাশন নামের কারখানায় গাজীপুর সিটি করপারশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমতাজ হােসেন মন্ডল অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারখানার গেইটে যান। সেখানে গিয়ে কাউন্সিলর মোমতাজ হােসেন মন্ডল কারখানার ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করেন।কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা উর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভিতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। এসময় কাউন্সিলরের লােকজন নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন। নিরাপত্তা কর্মীরা কাউন্সিলরকে আটক করে একটি কক্ষে বসিয়ে রাখেন। কাউন্সিলর মোমতাজ হােসনকে আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার শতাধিক সমর্থক ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানার সামনে থাকা ৪-৫ দােকান হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন। এসময় কারখানার গেইটে গিয়ে হামলা চালালে কারখানার কর্মকর্তা দুই শতাধিক শ্রমিক গেইটে এসে কাউন্সিলর মোমতাজ হােসন মন্ডলের সর্মথকদের ধাওয়া দেন। উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এসময় কাউন্সিলর মোমতাজ সুকৌশলে কারখানার গেইট পেরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
কারখানার শ্রমিকেরা জানান, কারখানা কতৃপক্ষের কাছে কাউন্সিলর মােটা অংকের চাঁদা নিতে আসে। পরে গইটের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে একজন নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেন কাউন্সিলরের লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে কাউন্সিলরের শতাধিক নেতাকর্মী কারখানায় এসে হামলা ও ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে কেএসি ফ্যাশন লিমিটেড নামক কারখানার উৎপাদন কর্মকর্তা আলী আক্কাস সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভিতরে ঢুকতে চান। এতে নিরাপত্তা কর্মী বাধা দিলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এসময় কারখানার শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া দিলে কাউন্সিলর মোমতাজ হােসেন মন্ডল পালিয়ে যায়।
এদিকে মুঠোফোনে সাংবাদিকের সাথে কাউন্সিলর মোমতাজ হােসেন মন্ডল জানান, ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝির কারনে হয়েছে।পরে আমরা উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান করেছি।