সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বসত বাড়ির সামনের কোষ্টগার্ড কৈখালী স্টেশন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামে মোহাম্মদ শামসুর রহমানের ছেলে মোঃ শাহিনুর আলম শাহীন ও তারানীপুর গ্রামের অরাব আলী শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহিনুর আলম শাহীন বলেন, কেষ্টগার্ড কৈখালী স্টেশন তৈরীর জন্য রমজাননগর ও ভেটখালী মৌজার এস.এ ৫৯৪, ৫৯২, ৭৮, ৭৯ ও ৮০ খতিয়ানের ২৮৬০ দাগে আমার বসত বাড়ির কিছু জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক প্রস্তাব করেন। কিন্তু সকল দপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আমার বসত ভিটা সহ সামনের কিছু জায়গা বাদ রেখে ডিজাইন এবং সেটা অনুমোদন হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় অন্য এক পক্ষের প্ররোচনায় আমাকে অবগত না করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সার্ভেয়ার গিয়ে আমার বসত ভিটার সম্মুখ সংলগ্ন থেকে লাল ফ্লাগ পুতি দিয়ে আসে। যা সম্পূর্ণ অমানবিক। পরবর্তীতে আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্বয়ং জেলা প্রশাসক কিংবা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জমি হস্তান্তর ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রস্তাব সহ অভিযোগ করি। আমাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদে কে ডেকে আমাদের সামনে পুনরায় তারিখ নির্ধারণ করে মাপ জরিপের মৌখিক আদেশ দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা কার্যকর হয় করা হয়নি। শাহিনুর আলম শাহীন বলেন, এদিকে কোস্টগার্ড স্টেশনের কর্মকর্তাগণ গত সপ্তাহে উক্ত বিতর্কিত জায়গায় পিলার গাড়তে গেলে আমরা বাধা প্রদান করি এবং সেখানে আলোচনা হয় আগামী ৩ তারিখে আমরা পারিবারিকভাবে বসে একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান করব। কিন্তু সে সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে গতরাতে আমি যখন ঘুমের মধ্যে তখন হঠাৎ আনুমানিক রাত পৌনে এগারোটার দিকে তার ০১৭৬৯-৪৪৪২২০ নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত নম্বার ফোন দিয়ে বলেন রবিবার (২ মে) তারা উক্ত বিতর্কিত জায়গায় কাজ করবেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখলাম তারা সেখানে কাজ করছেন। প্রথম ডিজাইন বাদ দিয়ে এখন যে জমিটা কোষ্টগার্ড এরিয়ার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে যে পক্ষটা চেষ্টা করছে তারা সম্পূর্ন হিংসাত্বক মনোভাব ও আমাদের ক্ষতির জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করছেন বলে আমরা মনে করি। তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।