সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ঘর জ্বালানো মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রতিপক্ষ কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও খুন জখমের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দেকাটি গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী মোড়লের স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা খতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমিজমা নিয়ে পার্শ্ববতী মৃত আক্কাস মোড়লের ছেলে আসেক মোড়লের সাথে আমাদের বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের ইন্ধনে আসেক মোড়লসহ তার সহযোগিরা আমার সন্তানদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্র শুরু করে। তারা খুন জখমের হুমকি দেয়ার পাশাপাশি একের পর এক মিথ্য মামলা দিয়ে আমাদের দিশেহারা করে তুলেছে। এর আগে আমার ছেলে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিলেও আদালতে সব মামলাই মিথ্য প্রমানিত হয়েছে। বর্তমান তার বিরুদ্ধে একটি মামলা থাকলেও প্রতিপক্ষরা ড’জন খানেক মামলা আছে বলে প্রচার দিচ্ছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার ছেলের কোন বাহিনী নেই। মানুষের পাশে দাড়নোই তার অপরাধ। বিপদে পড়ে মানুষ চেয়ারম্যানের কাছ না গিয়ে আমার ছেলের কাছে এসে সহযোগিতা চায় এজন্য চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তার উপর ক্ষিপ্ত।
মনোয়ারা খাতুন আরো বলেন, গত ১১ জুলাই আমার বিধবা মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন আমাদের বাড়িতে আসে। ১২ জুলাই গভীর রাতে মৃত আক্কাস মোড়লের ছেলে আসেক মোড়ল, আসেক মোড়লের ছেলে ছট্রু মোড়ল, বাবলু মোড়ল, রিপন মোড়ল, বাচ্চু মোড়ল, নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আকবার লষ্কারের ছেলে ফিরোজ লস্কর, মহিউদ্দিন মোড়লের ছেলে কামাল মোড়ল, আমজদ মোড়লের ছেলে আলাউদ্দিন মোড়লসহ ১০/১২ জন আমার মেয়ের বাড়িতে ঢুকে কেরাসিন ছিটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুনে আমার মেয়ের দু’টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। আগুন দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে টর্চ লাইটের আলোয় কয়েকজনকে চিনতে পারে। এঘটনায় আমার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলার আসামীরা কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় তারা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। উল্টো আসামীরা মামলটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গত ১৬ জুলাই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমার ছেলে নুর ইসলাম ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী বলে প্রচার দেয়। যা আদৌও সঠিক নয়। আমার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন মেম্বর প্রার্থী হওয়ায় দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে আমার সন্তানকে খুন জখমের হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার ষড়যন্র করছে। এছাড়া তার সহযোগি আসৈক মোড়ল, ছট্রু মৌড়ল, বাবলু মোড়ল, রিপন মোড়ল, বাচ্চু মোড়ল, ফিরোজ লস্কর, কামাল মোড়ল, আলাউদ্দিন মোড়লসহ সকলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকের মামলা রয়েছে।
তিনি তার সন্তানদের প্রতিপক্ষের ষড়যন্রের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং মেয়ের ঘর পোড়ানো মামলার উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসাবে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।