গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের নৈয়ারবাড়ি গ্রামের মৃত বাঞ্ছারাম বাড়ৈ’র সহধর্মিনী মিনতি বাড়ৈ নিজে ও এতিম দুটো সন্তানকে নিয়ে অন্যের জমিতে কাজ করে দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার যোগায়। তাদের বসবাসের জন্যও নেই কোনো ভালো ঘর। ভাঙ্গাচুরা নড়বড়ে একচালা একটি ঘর রয়েছে।
তাদের সমসাময়িক সমস্যা ও ক্ষোভের বিষয়টি ফেসবুক স্ট্যাটাসে জেমস বাড়ৈ নামে জনৈক এক গণমাধ্যমকর্মী আপলোড দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আকুতি জানান। সেই স্ট্যাটাসটি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশটাইমস deshtimes24.news ও দৈনিক ভোরের দর্পণ, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির নজরে এলে তিনি তা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমানকে অবহিত করেন। পরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত হয়ে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গোপালগঞ্জের মানবিক জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে অসহায় এই পরিবারটির পাশে থেকে সরকার প্রদত্ত সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশটাইমস deshtimes24.news এর প্রিয় পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরা হলো।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন এর নৈয়ার বাড়ী গ্রামের মৃতঃ বাঞ্চারাম বাড়ৈ এর বিধবা স্ত্রী মিনতি বাড়ৈ ও তাঁর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করতেছেন,নাই কোন ঘর, নেই কোন কাজ, এখন এই সন্তান পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন দেখার কেউ নাই। তিনি বিভিন্ন মানুষের জমিতে কাজ করে দু বেলা কোন রকম বেঁচে আছেন, তিনি একটি ঘরের জন্য কয়েকবার চেয়ারম্যান ও উপজেলায় যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয় নাই। এই পরিবারের পাশে সকলকে এগিয়ে আশার আহবান জানাই।
সর্বোপরি জয় হোক মানবতার, পরাজয় হোক করোনার। সকলে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক।