সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের ক্ষেত্রে তালিকা প্রণয়নে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও প্রকৃত মৎস্য চাষীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বেলা ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নাজমুল ইসলাম, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম। এছাড়া ১২টি ইউনিয়নের প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহমুদ হোসাইন, আকবর কারিগর প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম অর্থ বাণিজ্য করে দালালদের মাধ্যমে তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় ঘের ব্যবসায়ী মাহমুদ হোসাইন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং বুলবুলে আমাদের মৎস্য ঘেরগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু আমরা যারা প্রকৃত মৎস্যচাষী এবং ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষ করি তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ, একশতক ও ঘের নাই কিংবা পুকুরও নাই এমনদেরকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা।
আকবর কারিগর বলেন, এই ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম তার অফিসের ১২টি ইউনিয়নের ১২ জন কর্মচারীকে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় এই মৎস্য চাষীদের মনগড়া তালিকা প্রণয়ন করেছে। আরিফ সহ ১২জন কর্মচারী তাদের নিজস্ব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুু-বান্ধব, এমনকি এসকল কর্মকর্তার প্রেমিক প্রেমিকার বাবারাও বাদ পড়েনি এই তালিকা থেকে। আর যাদের টাকা এসেছে তাদের কারো কাছ থেকে ১০ হাজার কারো কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়েছেন এই সমস্ত কর্মচারীবৃন্দ। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত ঘুষখোর মৎস্য কর্মকর্তার বদলির দাবিতে আমরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকারী প্রান্তিক চাষীরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই মৎস্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন।