বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পাটকেলঘাটা থানা ও খলিষখালি পুলিশ ক্যাম্প আকস্মিক পরিদর্শনে নবাগত পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা পুলিশ অফিস বার্ষিক পরিদর্শন করলেন খুলনা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন  আশাশুনির দরগাহপুরে কাজী আলাউদ্দীনের নির্বাচনী জনসভায় জনতার ঢল সাতক্ষীরায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশ  সাতক্ষীরায় জামায়াতের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিট’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় প্রতিবেশী দাদা কর্তৃক ৮ বছরের শি শু কে ধ র্ষ ণে র অ ভি যো গ সাতক্ষীরার সাবেক পিপি ও পুলিশের ৩ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের নামে আ দা ল তে চাঁ দা বা জি মা ম লা তালায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাথে লবি মিটিং শ্যামনগরের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড ক লে জে দুঃ সা হ সি ক চু রি: ন গ দ অ র্থ ও ল্যা প ট প উ ধা ও! এলাকাবাসীর মধ্যে চ র ম উ দ্বে গ

শ্যামনগরে কৃষকদের নেতৃত্বে ধান জাত গবেষণায় স্থানীয় ১৬২টি জাতের আমন ধানের মাঠ দিবস

✍️আসাদুজ্জামান📝 জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক✅
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৃষকদের নেতৃত্বে ধান জাত গবেষণায় স্থানীয় ১৬২টি জাতের আমন ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ‘২৫) উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নৈর মধ্যে কৈখালী গ্রামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) ও মধ্যে কৈখালী আইপিএম কৃষি ক্লাব এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুল হুদা।

শ্যামনগর গ্রীন কোয়ালিশনের সভাপতি কৃষ্ণাদ মুখার্জির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, ৫নং কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ও শিক্ষক-সাংবাদিক রনজিৎ বর্মণ।

এছাড়া স্থানীয় জাত সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্যে রাখেন, বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমম্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, কৃষক নেতা লোকনাথ মন্ডল, নিমাই মন্ডল, হাবিবুর রহমান, কৃষাণী নাজমুন নাহার, ভগবতী রানী, লুৎফর রহমান।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা গবেষণাধীন ধান জাতের প্লট পরিদর্শন করেন এবং জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা সহনশীল, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম, সারের ব্যবহার কম, ধানের ঘন গাঁথুনি, লম্বা শীষ, চিকন দানা ও সুগন্ধসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জাত নির্বাচন করেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধানের জাত হলো, আরমান, স্বর্ণমাশুরী, নারকেল মুচি, চিনিকানি, দারশাইল, তালমুগুর, মালাগতী, দিশারী, নেপালি, পিঁপড়ার চোখ, সীতাভোগ, পাটনাই প্রভৃতি।

বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতার কারণে ধান চাষ এক প্রকার চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। একসময় এ অঞ্চলে বহু স্থানীয় ধানের সমাহার থাকলেও এখন হাইব্রিড ও উফশী জাতের উপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। স্থানীয় ধানের বহু জাত বিলুপ্তির পথে। এসব হারিয়ে যাওয়া ধানের জাত পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে প্রয়োজন। কারণ স্থানীয় জাতগুলো হলো মা জাত। আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নতুন জাত উদ্ভাবনে স্থানীয় জাতগুলোই হবে মূল ভিত্তি।

কৃষকরা বলেন, হাইব্রিড ও উফশী ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা সরকারি উদ্যোগ থাকলেও স্থানীয় জাত সংরক্ষণে তেমন উদ্যোগ নেই। খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু সহনশীল কৃষির জন্য স্থানীয় জাত রক্ষা করা অপরিহার্য।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!