ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের স্বরাব্দীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালর প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান ও দপ্তরী সাইফুল্লাহকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অভিবাবক মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে রবিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

স্বরাব্দীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছ্ত্রাীর অভিভাবক সরাব্দীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান দুপুরে টিফিন খাওয়ার সময় তার মেয়েসহ পঞ্চম শ্রেণীর তিনজন, চতুর্থ শ্রেণীর একজন ও তৃতীয় শ্রেণীর দুইজন ছাত্রীকে এক এক করে ছাত্রীদের দোতলায় ডেকে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। একইভাবে বিদ্যালয়ের দপ্তরী সাইফুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বাধ্য হয়ে এক হাজারের বেশি অভিভাবক ও গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিকেল তিনটার দিকে উপপরিদর্শকব মিলন বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তারা অবরোধ তুলে নেন। রাতে তিনি বাদি হয়ে ওই প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরীর নাম উল্লেখ করে রবিবার রাতে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

স্বরাব্দীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান ও দপ্তরী সাইফুল্লা সোমবার বিকেলে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, তারা চক্রান্তের শিকার হয়েছেন।

কালিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক নকীব পান্নু আহম্মেদ জানান, রবিবার রাতে স্বরাব্দীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের দায়েরকৃত তার মেয়ের যৌন হয়রানির মামলায় স্বরাব্দীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান ও দপ্তরী সাইফুল্লাহকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।