সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের উত্তর মাঠে গভীর নলকূপ বসানোর ঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করায় স্থানীয় ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী জুলু কর্তৃক এক বিধবা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেমাবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নাজমুন্নাহার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের উত্তর মাঠে আমার স্বামীর দুইটা গভীর নলকূপ ছিল। স্বামীর মৃত্যুর আগে একটি গভীর নলকূপ আমার দুই মেয়ের নামে এবং অপরটি দেবর ও ভাসুরের নামে দিয়ে যায়।
স্বামীর মৃত্যুর পর ওই নলকূপের পানি পার্শ্ববর্তী বিলে সরবরাহ করে তা দিয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোন রকমে দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে কাথন্ডা গ্রামের মৃত আফসার আলী দফাদারের ছেলে বৈকারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য জুলফিকার আলী ওরফে জুলু ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে একই বিলে জোর করে আরো একটি গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেন। এঘটনায় প্রতিকার দাবি করে আমি গত ৭ জুলাই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ সম্মেলন করার পর থেকে ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী ওরফে জুলু ও তার লোকজন আমাকে ও পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্নভাবে প্রাণনামের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে প্রায় সময় আমার বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করছে। জুলু ও তার লোকজন যে কোন সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। এতে করে আমি বাবা হারা দুই মেয়েকে নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বসবাস করছি।
নাজমুন্নাহার আরো বলেন, আমাদের বাড়ির মধ্যে একরকম অবরুদ্ধ করে রেখে জুলফিকার আলী জুলু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কাথন্ডা উত্তর মাঠে গভীর
নলকূপ বসানোর কাজ অব্যহত রেখেছে। সে ১২ জুলাই রবিবার রাত ১২ টা থেকে আবারও কাজ শুরু করলে আমি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি। তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু জুলফিকার আলী আবারও নলকূপ বসানোর কাজ করার পায়তারা শুরু করেছে। এজন্য আমার বাড়ির চারপাশে লোকজন দিয়ে মহড়া দিচ্ছে।
সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী জুলু যাতে কাথন্ডা গ্রামের উত্তর মাঠে গভীর নলকূপ বসাতে না পারে তার প্রয়োজনী ব্যবস্থা
গ্রহণে তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।