সাতক্ষীরায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি রক্ষার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সদর উপজেলার শিকড়ি মোল্যাপাড়ার মৃত রহমদ্দীন সরদারের পুত্র মো: আবুল হাসেম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ১৯৮৪ সালের ১৬ আগষ্ট কুশখালি মৌজায় ২৮ শতক, দলিল নং-৭৯১২, এস,এ খতিয়ান ১৯৯০, দাগ নং-১০২৫৯, ১৯৭০ সালের ২২ জুন কুশখালি মৌজায় ১০০৮০, ১০০৮২, ১০১১৮ নং দাগ, এস,এ ৯৮৪ খতিয়ান ৪৭ শতক, দলিল নং-৪৫৭২ এবং ১৯৯৮ সালের ৪ আগষ্ট ৬২০৩ নং দলিল ২৯০৩ নং এস,এ খতিয়ান, ১০২৮৯, এস,এ খতিয়ান ২৮৯৯, দাগ নং-১০২৮৬ ও এস,এ খতিয়ান ২৯০০, দাগ নং ১০২৮৪, জমি ১৯ শতক ক্রয় করি। জমি ক্রয়ের পর থেকে আমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু ১৯৯০ সালের মাঠ জরিপের সময় ভুলক্রমে বা যোগসাজাসে সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তারা আমার দুই বোনের নাম যৌথভাবে রেকর্ড করে দেন। বিষয়টি অনেক জানার পর সাতক্ষীরা এসিল্যান্ড অফিস রেকর্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করি। এছাড়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং-পি-১১৫/২০২০, ধারা ১৪৪। এই মামলায় বিজ্ঞ বিচারক গত ১২ জানুয়ারি বিবাদী পক্ষ আমার বোন শুকুল বিবি (৪০), তার স্বামী আব্দুল জলিল (৪২), আরেক বোন মরিয়ম খাতুন (৪২) ও তার ছেলে অর্থাৎ আমার ভাগ্নে আরিফ হোসেনের প্রতি নোটিশ জারী করেছেন। ১৪৪ ধারা জারির এই নোটিশ উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন সদর থানার ওসিকে। একই সাথে বিবাদী পক্ষকে আগামী ২৫ মার্চ আদালতে হাজির হয়ছ জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, স্থাণীয় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল আমার বান্দার পক্ষে নিয়ে পরিষদের চৌকিদার পাঠিয়ছ আমার মাছের ঘর জোর করে মেশিন খাটিয়ে পানি সেচে মাছ ধরার পায়তারা করে। বিষয়টি থানাকে অবহিত করা হলে পুলিশ যেয়ে তা বন্ধ করে দেয়।
লিখিত বক্তব্যে হাশেম আরো বলেন, চেয়ারম্যান শ্যামলের প্রকাশ্য মদদে আমার বোন ও ভাগ্নে এসব করেছে। তারই মদদে আমার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বোন শুকুল বিবি দুটি মামলা করছিলো। কিন্তু আদালত ন্যায় বিচার করেছে। বোনের দায়ের করা দুটি মামলাই আদালত খারিজ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, জমি ক্রয়ের মূল দলিল থেকে সব কিছুতে আমার নাম। শুধুমাত্র রেকর্ড যৌথভাবে হওয়ায় সম্পূর্ণ গায়ের জোরে চেয়ারম্যানের মদদে তারা আমাকে হয়রানি করেছে।
তিনি এসব হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে প্রশাসনের সহযঝগিতা কামনা করেছেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।