সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফের নাম অর্ন্তভুক্ত করে গঠন করা ৫১সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলর তালিকা দিয়ে আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চম্পাফুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলেন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সোমবার (০৬ অক্টোবর ‘২৫) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চম্পাফুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসেম আলী বলেন, গত ২২ আগষ্ট কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিযোগী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে আমি সাধারণ সম্পাদক ও জিএম কামরুজ্জামান সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। বিএনপির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ি ওয়ার্ডের নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের সমন্বয়ে ৩ জনের স্বাক্ষরিত ওয়ার্ডের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলর এব তালিক জেলা বিএনপির নিকট দাখিল করতে হয়। কিন্তু ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল হাকিম মোড়ল সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সাংগঠনিক নিয়ম বহিভূতভাবে একক সিদ্ধান্তে তার আপন বড় ভাই আ’লীগ নেতা আব্দুল লতিফ মোড়লের নাম ওয়ার্ডের ৫১ সদস্যের কাউন্সিলর তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করে জেলা বিএন পির নিকট দাখিল করেছেন।
শেখ হাসেম আলী আরো বলেন, চম্পাফুল ইউনিয়নের ৬ নংওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের স্বাক্ষর ছাড়াই শুধুমাত্র সভাপতি আব্দুল হাকিমের একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫১ সদস্যের কাউন্সিলের তালিকায় তার আপন ভাই কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফের নামসহ কাউন্সিলরের তালিকাটি পাস করে জেলা বিএনপি। একই সাথে আগামী ১১ অক্টোবর চম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন জেলা নেতৃবৃন্দ। যাতে বিএনপি’র সংগঠনিক নীতি ভঙ্গ হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়ার্ড সভাপতির ভাই কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ ফ্যাসিষ্টদেও চিহিৃত দোসর। বিগত ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ছিলেন তিনি। এছাড়া বিগত ২০২১ সালে চম্পাফুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি শেখ হাসিনার নিকট নৌকা প্রতীক প্রার্থনা করেছিলেন। বর্তমানে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধালীগের আহবায়ক আছেন। এবিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য গত ২৫ সেপ্টেম্বর আমরা কেন্দ্রীয় বিএন,পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচীব বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি। যার অনুলিপি জেলা বিএনপির আহবায়ক বরাবর জমা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের অভিযোগের বিষয়ে অদ্যবধি কোন সুরহা করা হয়নি।
তিনি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি ঘোষিত আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ স্থগিতপূর্বক তারিখ পুনঃনির্ধারণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় বিএনপির ২০/২৫জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।