মহান বিজয় দিবস -২০২০ উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ বিচার বিভাগ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় গোপালগঞ্জের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে’র নেতৃত্বে এক বিজয় র্যালি আদালত ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ফলকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা ও দায়রা জজ বিচার বিভাগের সকল বিচারকগণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ফলকের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আতোয়ার রহমান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন ভূইয়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ওসমান গনি, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (যুগ্ন জেলা জজ) মোঃ ইউসুফ হোসেন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাছির উদ্দীন, যুগ্ন জেলা জজ (১ম আদালত) মোহাম্মদ নাঈম ফিরোজ, সিনিয়র সহকারী জজ (গোপালগঞ্জ সদর) এইচ. এম. কবির হোসেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) নিয়াজ মাহমুদ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হুমায়ুন কবির, কাঞ্চন কুমার কুন্ডু, বীণা দাশ, মোঃ হাসিবুল হাসান, অমিত কুমার বিশ্বাস, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফুর রহমান, বেগম তানিয়া সুলতানা লিপি, সহকারী জজ (টুঙ্গিপাড়া) মোঃ নাজমুল কবির, সহকারী জজ (কাশিয়ানী) মোঃ মহিদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম এবং নাজির জাকির হোসেন উকিলের নেতৃত্বে জেলা জজশীপের বিপুল সংখ্যক কর্মচারী ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃক জামিল আহমেদ ও নাজির মোঃ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেসি’র বিপুল সংখ্যক কর্মচারী উক্ত বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে সকলে সমবেত হন। এরপর বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে দেশ প্রেমের টানে জাতীয় পর্যায়ের এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকেই প্রকৃত অর্থে মুজিব আদর্শের ধারক ও বাহক হতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। এছাড়াও তিনি গোপালগঞ্জ আদালত ভবনে একটি মুজিব কর্নার স্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।