পদ্মা সেতুর নাম “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব” করার দাবিতে গোপালগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুজিবপ্রেমী সিরাজউদদৌলা চৌধুরী।
আজ দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু’র সমাধিসৌধের মুক্ত মঞ্চে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা তার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সব সময় যে মহীয়সী নারী শক্তি প্রেরনা ও উৎসাহ দিয়েছেন, তাঁর নামে এ সেতুর নামকরণ করার দাবি জানাচ্ছি। সিরাজউদদৌলা চৌধুরী জানান ,বাংলাদেশের বহু দিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু। কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে বিষয়টি ঝুলে ছিল। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এই সেতুর পেছনে দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পদ্মার বুকে সব কয়টি স্প্যান বসিয়ে দু’পাড়ের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতার জন্য জেল—জুলুমসহ বহু অত্যাচার ও ত্যাগ শিকার করেছেন। বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে তার নাম মুছা যাবে না। তার পিছনে সবসময় শক্তি ও প্রেরণা দিয়েছেন তাঁর সহধমীর্নী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের ত্যাগ এ দেশের মানুষ কখনও ভুলতে পারবে না। যা এ দেশের মানুষের হৃদয়ে স্পন্দনে বেেঁচ থাকবে চিরদিন। এছাড়া তিনি একজন রত্নগর্ভা মা। তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। এই পদ্মা সেতুর জন্য তিনি বিশ্বব্যাংকসহ সকলের বিরুদ্ধেই সংগ্রাম করেছেন। আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, সেতুটির নাম ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতু’ করার দাবি জানাচ্ছি। কারণ, তাঁর শত ত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে তাঁর নামেই সেতুটির মহত্ব প্রকাশিত হবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সাহসী সংগ্রাম করেছেন আমি মনে করি, এই সেতু তাঁর মায়ের নামেই নামকরণ করা উচিত। এই মহীয়সী নারী কখনও উচ্চা বিলাসী ছিলেন না। সারা জীবন শুধু ত্যাগ করেছেন। তাঁর নামে সেতুটির নামকরন করা হলে তাঁর আত্মত্যাগের প্রতি নূন্যতম স্বীকৃতি দেওয়া হবে। যারা স্বাধীনতাকে ভালোবাসে মূলত তারাই শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গমাতাকে ভালোবাসে। তাদের পক্ষে, আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতু’ কররার দাবি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, প্রধান বিচারপতির নজরে আনতে চাই।