সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশঘাটায় আদালতের মাধ্যমে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়ার পর চাচাতো ভাই কর্তৃক আবারও তা কৌশলে দখল চেষ্টার উদ্দেশ্যে অন্য ভাইদের মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাঁশঘাটা গ্রামের মৃত বাবর আলী সরদারের ছেলে মোঃ কুরবান আলী এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মির্জাপুর বাঁশঘাটা মৌজায় জেএল নং-৮৩ এবং ৩৪৭/১ খতিয়ানের ৩৪৯, ৩৪৬, ৩৪৫ ও ৩৪৭ দাগে মোট ৫টি বন্দে ১.১৩ একর সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে আমারা মালিক হয়ে দীর্ঘ ৫৮ বছর ধরে শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু ২০১২ সালে আমার বড় চাচার ছেলে হযরত আলী, ইনছুর আলী
ও আনিছুর রহমান গংরা উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মিমাংসা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তারা আমাদের একটি আপোষ মিামংসা কের দেন। সেখানে তারা লিখে দেন যে, উক্ত ১.১২ একর জমিতে তাদের কোন প্রকার দাবি থাকবে না। সেই মিমাংসা নামায় হযরত আলীসহ তারা পাঁচভাই স্বাক্ষর করেন। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই তাদের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই হযরত আলী, ইনছুর আলী ও আনিছুর রহমান উক্ত আপোষনামা না মেনে কৌশলে আমাদের দখলীয় সম্পত্তি তারা জবরদখলের ষড়যন্ত্র শুরু করলে ২০১৩ সালে আমরা আদালতের উক্ত দাগের মোট ৪.৩০ একর সম্পত্তি নিয়ে মামলা করি। যার বিচারিক কার্যক্রম চলমান। এরপরও তারা অবৈধ লোভের বশবর্তী হয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে এপর্যন্ত ১৪৫ ধারায় প্রায় ৩টি মামলা দায়ের করে। কিন্তু আদালতে সব গুলো মামলা খারিজ হয়ে যায়। এরপরও তারা অবৈধভাবে আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য একাধিক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।
কুরবান আলী অভিযোগ করে বলেন, উক্ত সম্পত্তিতে কোন ঘরবাড়ি বা গাছ পালা নেই। জমির দুই পাশে ৮টি পুকুর থাকায় আমরাও মাটি কেটে পুকুর করেছি। অথচ এবষয়টিকে পুঁজি গত ১০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যে সংবাদ সম্মেলনে করেছে। সেখানে কৗশলী হযরত আলী যেসব অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। এমনকি আমরা যে তার চাচাত ভাই সেটিও তিনি অস্বীকার করেছেন। হযরত আলী গংরা অবৈধভাবে আমাদের সম্পত্তি দখলের চক্রান্তে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা সুকৌশলে আমাদের ফাঁদে ফেলে ওই সম্পত্তি দখলের জন্য এধরনের মিথ্যেচার করে যাচ্ছেন। এসব অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে অন্য দুইভাই তাদের সাথে নেই। আমি তাদের চক্রান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
তিনি চাচাত ভাই হযরত আলী গংদের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যে মামলার দায় হতে অব্যহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অস্বীকার করেছেন। হযরত আলী গংরা অবৈধভাবে আমাদের সম্পত্তি দখলের চক্রান্তে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা সুকৌশলে আমাদের ফাঁদে ফেলে ওই সম্পত্তি দখলের জন্য এধরনের মিথ্যেচার করে যাচ্ছেন। এসব অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে অন্য দুইভাাই তাদের সাথে নেই। আমি তাদের চক্রান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
তিনি চাচাতো ভাই হযরত আলী গংদের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যে মামলার দায় হতে অব্যহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।