সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শনে নবাগত ডিসি আরিফ -উজ-জামান শ্যামনগরের গাবুরাতে অভিযোজন কৃষি চর্চা বাড়াতে কৃষি ফসল ও সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবহাটায় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন উপহার দেবো: কাজী আলাউদ্দীন দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নারীদেরকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে- মুহাঃ আব্দুল খালেক মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা মু ক্তি প ণে র দা বি তে সুন্দরবনের ৭ জে লে কে অ প হ র ণ তালায় অর্ধবার্ষিক লবি সভা অনুষ্ঠিত হ্যাচারি পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানসম্মত পোনা উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা শ্রিম্প হ্যাচারি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সেব এর উদ্যোগে সাতক্ষীরায় মতবিনিময় সভা সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েলের মতবিনিময়

আশাশুনিতে মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা, চাঁদা নেয়ার অভিযোগে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের

✍️আসাদুজ্জামান📝 জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক✅
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩১০ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার আশাশুনির কাকড়াবুনিয়ায় মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা, ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী ও নগদ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক চাঁদা আদায়সহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ ও মালামাল লুটের অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২২ মার্চ (শনিবার) আশাশুনি থানায় এজাহারটি জমা দেন জেলা মহিলা দলের সদস্য ও সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের নির্দেশে এজাহারটি আমলে নিয়ে আশাশুনি থানার ওসি এটি তদন্তের জন্য এসআই নাহিদের উপর দায়ীত্ব দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ ইতিমধ্যে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোস্তাক (৩০), মৃত গফুর সানার পুত্র দ্বীন মোহাম্মদ সানা দ্বীনু (৩৫), মোস্তফা আকুঞ্জির পুত্র জহুরুল আকুঞ্জি (২৮), গোলাম বারীর পুত্র মোঃ সাগর (৩০), গফুর সানার পুত্র রফিকুল ইসলাম সানা হাসেম (৪০), জব্বার সার পুত্র জমাত সানা (৩৮) ও গফুর সানার পুত্র জাহাঙ্গীর ওরফে নাটা (৩৮)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া এলাকায় আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আলমামুনের ৩০ বিঘা জমির উপর একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। উক্ত ঘেরে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগদা ও গলদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। গত (২০২৪) বছরের ৭ আগস্ট আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপরোক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে হাতে ধারালো দা ও চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঘেরে প্রবেশ করে। এসময় সেখানে পাহারারত জামাতার ভাই হাবিবুর রহমান বাধা দিলে তারা তাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং এখানে ঘের করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। একপর্যায়ে তারা তাকে ঘের থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে ঘেরের বাসায় থাকায় মাছ বিক্রির নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর তারা একাধিকবার উক্ত মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে আরো প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ ধরে তা লুট করে নিয়ে যায়। এমাতাবস্থায় চলতি (২০২৫) বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী উক্ত আসামীরা আবারো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য ঘেরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকলে আম্বিয়ার বোন জেলা মহিলা দলের নেত্রী সালেহা হক কেয়া ও জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এতে বাধা দিলে তারা বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তারা এখুনি চলে যাবে। এসময় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ৫ নং আসামী রফিকুল সানার হুকুমে ১ নং আসামী মোস্তাক আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ৩ নং আসামী জহুরুল আকুঞ্জি জোরপূর্বক আব্দুল্লাহর পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এসময় আম্বিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে ৬নং আসামী জমাত সানা তাকে কিল ঘুষি মারিয়া অসৎ উদ্ধেশ্যে পরনের কাপড় চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। ৭ নং আসামী নাটা এসময় আম্বিয়ার গলা থেকে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যে ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নেয়। আম্বিয়ার বোন সালেহা হক কেয়া তার বোনকে ঠেকাতে গেলে ৪ নং আসামী সাগর অসৎ উদ্ধেশ্যে তার তাকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। এসময় ২ নং আসামী দ্বীন মোহাম্মদ সানা ওরফে দ্বীনু ও ৬ নং আসামী জমাত সানা আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর উক্ত সকল আসামীরা তাদেরকে মৎস্য ঘেরের ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে বাহিরের থেকে তালা লাগাইয়া দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আবারো ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে যা ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে পরিশোধ করতে হবে বলে জানায়। অন্যথায় তারা মৎস্য ঘের দখলে নেওয়াসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন এজাহারে বর্ণিত স্বাক্ষী অলিউল্লাহ অলু, তুহিন, সোহেলসহ অন্যরা।

এমামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশাশুনি থানার এসআই নাহিদ জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেন জানান, তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদ বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!