
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা মোবারকনগর বাজার ও নলতা চৌমুহনীতে অভিযান চালিয়ে দুই ভূয়া গ্রাম ডাক্তারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ‘২৫) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
পূর্ব নলতার জেহের আলী, এবাদুল ইসলাসহ কয়েকজন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ম্যাটস্ এর দুই জন শিক্ষার্থী নলতা মোবারকনগর বাজারে গ্রাম ডাক্তার ও সন্ন্যাসীর চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছাত্রীদের বার বার শ্লীতাহানির অভিযোগে ঝাঁটা ও জুতো দিয়ে বরণ করে নেওয়া শহীদুল ইসলামের চেম্বারে চিকিৎসা নিতে যান। শহিদুল ইসলাম তাদের রোগের বিবরণ শুনে মোবাইলে গুগল এর মাধ্যমে ওষুধ নির্বাচন করে প্রেক্রিপশন লিখে দিয়ে ২শত টাকা ভিজিট নেন। এ সময় তারা শহিদুল ইসলামের ডাক্তারি সর্টিফিকেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তাদের সাথে যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে ম্যাটস্ এর ছাত্ররা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। পরে উপজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস এবং সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সরেজমিনে এসে শোনাবোঝা করে ডাক্তার শহিদুল ইসলামের সার্টিফিকেট ভূয়া প্রমাণিত হলে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে নলতা চৌমুহনীতে গ্রাম ডাক্তার শরিফুল ইসলামের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তার ডিএমএফ সার্টিফিকেট ভূয়া প্রমাণিত হলে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভূয়া পদ পদবী ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রার্থীদের সাথে প্রতারণা করা কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটক দুই ব্যক্তি নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।