সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডায় নবমুসলিম ডিএমএফ নারী চিকিৎস্যকের বিরুদ্ধে মিথ্যে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মলিনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার কাথন্ডা বাজার ডি এমএফ ডাঃ দিপা চাকমা এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চাকমা সম্প্রদায়ের বংশধর। রাষ্টীয় আইন অনুযায়ী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ২০১৩ সালে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমি “ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফেকালটি” এর চার বছর মেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করি। যার শিক্ষা সনদের রেজিঃ নং-৯০৮৪, সেশন: ২০০৮-২০০৯, এসএল নং-৯০০৩, বাগেরহাট মেডিকেল রেজি: এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধীনে দ্যা স্টেট মেডিকেল ফেকালটি অফ বাংলাদেশের শিক্ষা সনদ অর্জন করি। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ১৯৮০, মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট পেশাদার হিসাবে রেজি: সার্টিফিকেট ২০১৩ সালের ২ আগষ্ট অর্জন করি। যার রেজি: নং-ডি-৬৩২৮। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৬ শিক্ষবর্ষে এক বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আল্ট্র সাইন্ড” ও রংপুরের বদরগঞ্জ রোডের পীর জদ্দাবদে সার্টিফিকেট ইন মেডিকেল আল্ট্রসাইন্ড ট্রেডে ভর্তি হয়ে ৬ মাস মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আল্ট্র সাইন্ড” কোর্স সম্পূর্ন করি। যার সার্টিফিকেট রেজি: নং ১১৫১০১, সেশন-২০১৬, এসএল নং-২৩৪৭২১৩।
ডাঃ দিপা চাকমা বলেন, আমি ঘোনা রোডরে কাথন্ডা বাজারে চেম্বার করে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে অসছি। কিন্তু এলাকার কিছু কুচক্রি মহলের ইন্ধনে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের রোগ নিয়ন্ত্রক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্তের পরিকল্পিত স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়েছি। গত ১২ নভেম্বর ডাঃ জয়ন্ত সরকার মিথ্যে অভিযোগে আমাকে হয়রানি করেছেন। এসময় তিনি আমার কাগজপত্রাদি সার্টিফিকেট সব কিছু দেখে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ভূয়া ডাক্তার হিসাবে ঘোষনা করেন। আমার কাগজপত্র বুঝাতে চাইলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি এড়িয়ে যান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার কোন সার্টিফিকেট না থাকায় ডাক্তার না হয়ে নামের আগে ডাক্তার লিখেছি ও প্রাক্টিস করছি। আমার প্রতিষ্ঠানে কোন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। ডেলিভারি রুমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয় উল্লেখ করে ডাঃ জয়ন্ত সরকার আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যা সম্পূর্ন মিথ্যে।
ডাঃ জয়ন্ত সরকার অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পেশাদারিত্ব ও সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আমি ঘটনার দিন পদবিি লেখা সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায়ের কপিসহ আমার সকল সার্টিফিকেট ও কাগজপত্র দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাঃ জয়ন্ত সরকারকে দেখালে তিনি উচ্চ আদালতের কপিসহ সকল প্রমানাদি তিনি ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমাকেও ডাক্তার মর্মে ঘোষনা করেন এবং আমার চেম্বারকে বার বার ক্লিনিক বলে আখ্যায়িত করেন। এসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক একজন অপরাধি হিসাবে স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষর করে নেন। তিনি এঘটনার প্রতিকার দাবি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।