সাতক্ষীরার নলতায় তিন ভাই মিলে ৫বোনের ওয়ারেশ ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে পৈত্রিক সম্পত্তি অন্যত্রে বিক্রির প্রতিবাদ করায় ভাইয়েরা তাদেের বোনদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের মৃত মাজেদ গাজীর মেয়ে মোছাঃ নাজমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মা খালা ও মামারা ৮ ভাই বোন। এদের মধ্যে ৫ বোন যথাক্রমে ফজিলা খাতুন, জামিলা খাতুন, জাহানারা খাতুন, আমেলা খাতুন ও আনোয়ারা খাতুন এবং তিন ভাই ফজর আলী, নজির আলী ও আনছার আলী। আমার নাানা মৃত বাহার আলী গাজীর নামে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মৌজায় জে এল নং-১০ মোট ৪টি খতিয়ানে ২.২৬ শতক জমি ছিল। নানা জীবিত থাকা অবস্থায় বোনদের বাদ দিয়ে আমার তিন মামা ওই সম্পত্তির পুরোটাই তাদরে নামে লিখে দেয়ার দাবি জানাালে নানা বাহার আলী গাজী তাতে রাজি হয়নি। সেকারনে নানা’র অসুস্থ্যতার সময় মামারা কেউ তার চিকিৎসা পর্যন্ত করায়নি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিনা চিকিৎসায় নানা মারা যাওয়ার পর তিনি মামা ফজর আলী, নজির আলী ও আনছার আলী কৌশলে ৫ বোনের ওয়ারেশ ফাঁকি দিয়ে ভূয়াা ওয়ারেশকাম সনদ সৃষ্টি করে উক্ত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানার পর ভাইদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমার মা-খালাদের দূর দূর করে তাড়িয়ে বলে, তোরা কোনা জমি পাবিনা, বেশি বাড়াবড়ি করলে খুন জখম করার হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় আমার মা এবং খালারা বাদি হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি কেস করেন। উক্ত কেসের ধার্য্য দিনে মামারা কেউ হাজির না হয়ে তালবাহনা শুরু করে। একই সাথে মা-খালাদের পক্ষে
যারা কাজ করছেন তাদেরকে খুন জখম সহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন পরসম্পদ লোভী আমার তিন মামা ও তাদের লোকজন।
নাজমা খাতুন আরো বলেন, আমার মা ও খালদের গরীব ঘরেই বিয়ে দিয়েছিলেন নানা বাহার আলী। গরীব স্বামীর ঘরে জীবিকার তাগিদে তাদেরকে অন্যের ক্ষেত খামারে ও বাড়িতে কাজ করতে হয়। জীবন সংগ্রামে তারা এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। পিতার সম্পত্তিতে অধিকার থাকলেও সম্পদ লোভী ভাইদের কারনে তার বঞ্চিত হয়ে অন্যের দুয়ারে ছুটে বেড়াচ্ছেন। উল্লেখিত মামারা অমাকেও বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
তিনি ভাই নামধারী ওইসব পরসম্পদ লোভীদের কবল থেকে বঞ্চিত মা এবং তাদের বোনদের ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি মা-খালাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।