
শূন্যতার সভ্যতা
এমন এক সভ্যতা গড়েছে মানুষ,
যেখানে প্রেমের রং ধূসর,
যেখানে শব্দেরা মিথ্যের খাঁচায় বন্দী,
সত্যের শিরা-উপশিরা শুকনো নদীর মতো।দেয়ালের ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে আলো,
কিন্তু জানালার কপাটগুলো বন্ধ—
বাতাসও থমকে গেছে কালের ভয়ে।
একেকটা দিন বয়ে যায়,
ঘড়ির কাঁটা নীরবে বলে যায়—
“এখানে প্রেম নেই, নেই সাম্যের ঠিকানা।”বন্ধুত্বহীন এই পৃথিবীটায়,
রোবটের মতো মানুষ হাঁটে,
তাদের চোখে স্বপ্ন নেই,
কেবল শূন্যতা বহন করে ফিরছে তারা।বৈষম্যের পচা গন্ধে ভারী বাতাস,
মানবতার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমি ভাবি—
“এমন জীবন চাইনি আমি,
যেখানে নিঃশ্বাস নিতে গেলে বুকে বেঁধে আসে অস্পষ্ট বিষ।”একই আকাশের নিচে এক পাথুরে অসাম্য পৃথিবী,
প্রতিটি মানুষই নির্বিকার যেমনটি মাতৃগর্ভে শিশুরা!তবুও কারো কারো হৃদয়ই যেন পুড়ছে না অজানা আগুনে!
আমি খুঁজি সেই আগুনের ছাই থেকে জন্ম নেওয়া ফুল,
যে ফুলে থাকবে প্রেম, সাম্য আর বিশ্বাসের সুবাস।
একদিন সেই ফুলের বীজ ছড়িয়ে যাবে,
এই নিষ্প্রাণ ভূমির বুকে।সেদিন হয়তো ফিরে আসবে মানুষ—
আবার প্রেম লিখবে, সাম্য আঁকবে
আর মানবতা গাইবে সুরেলা গান।কিন্তু আজ?
আজ এই শূন্যতার সভ্যতায় আমি একা দাঁড়িয়ে,
প্রতীক্ষা করি।