মহান আল্লাহ্ পাককে ভয় করে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বলাকৈর নিজ গ্রামে ৪০০ পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মৌসুমী ফল (আম) বিতরণ করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মেধাবী ঠিকাদার ও জে.কে.পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মো.কামরুজ্জামান সিকদার কামাল।
রবিবার দিনব্যাপী স্হানীয় “স্বপ্ন মঞ্চ” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ওই গ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার প্রায় ৪০০ প্রতিবেশী পরিবারকে খাবার জন্য মৌসুমী ফল (আম) পৌঁছে দেন তিনি। সুস্বাদু ও সুমিষ্ট রসালো আম পেয়ে সকলেই মানবতার ধারক ও বাহক হাজী মো. কামরুজ্জামান সিকদার কামাল এবং তার পরিবারের সকলের জন্য আল্লাহর দরবারে মনে প্রাণে দোয়া করেন।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুরু থেকেই সরকারের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র মানবিক আহবানে সাড়া দিয়ে এবং গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড.শেখ ফজলুল করিম সেলিমের দিকনির্দেশনায় ব্যক্তিবিশেষ উদ্যোগে অনেকের মধ্যে জে.কে.পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে মো.কামরুজ্জামান সিকদার কামাল নিজস্ব তহবিল হতে করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, লবণ পেঁয়াজ, চিনি, গুুড়়ো দুধ ও সেমাই), নগদ অর্থ বিতরণ সহ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহনে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত জীবাণু নাশক তরল ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করেন।
এছাড়াও করোনা সংকট মোকাবেলায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা’র মানবিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে “সুু-প্রতিবেশী” খেতাব অর্জন করেছেন।
এ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি সামান্য যা কিছুই করার চেষ্টা করেছি, তা একমাত্র মহান আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার জন্য। দেশে যেকোনো সংকটকালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে অসহায় মানুষগুলোর কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উত্তম কাজগুলো বেশি করে করার তৌফিক দান করুন।