‘উপকূলের জন্য হোক একটি দিন, জোরালা হোক উপকূল সুরক্ষার দাবি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভোলা সাইক্লোনের ৫০ বছর পূর্তি, ঘূর্ণিঝড় প্রয়াত উপকূলবাসীর স্মরণে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষনার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামনগরের চৌদ্দরশি ব্রিজের উপর উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাকশন এইড, কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাব, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস ও বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্টের ব্যানারে উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির সাবেক সভাপতি মুহতারাম বিল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সাতক্ষীরা ইউনিটের সমম্বয়কারী শাহিন বিল্লাহ, স্টুডেন্ট সোসাইটির সভাপতি শেখ শাকিল হোসেন, ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদশের উপকূল অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের বিপুল জনগোষ্ঠী জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তা সত্ত্বেও উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলের বহু এলাকা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। বক্তারা অবিলম্বে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহান জানান। পরে উপকুল দিবস ঘোষনার দাবীতে গাবুরা ও পদ্মপুকুরের মানুষের অংশ গ্রহণ একটি র্যালি স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে, একই দাবীতে সকালে সাতক্ষীরা শহর সিডিও ইয়ুথ টিম ও বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিকের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘ভোলা সাইক্লোন’ উপকূল আঘাত হোন। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) মত ভোলা সাইক্লান পৃথিবীর ইতিহাস ভয়ঙ্করতম প্রাণঘাতী একটি ঝড়।