ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে গিয়ে ৫ সহকর্মির মৃত্যুতে সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে শোক সভা ও
মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় “রেমাল” এ ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক লাইন সচল করে গ্রাহক প্রান্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে সারাদেশে ৫ সহকর্মীর মৃত্যুতে একযোগে কর্মসুচী পালিত হচ্ছে। এরই অংশ বিশেষ কর্মসুচী পালন করেছে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার (০৬ জুন ‘২৪) সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা কর্মচারিরা সহকর্মীদের মৃত্যুতে কালো ব্যাজ পরিধান করে শোক সভা পালন শেষে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিলে আয়োজন করে।উল্লেখ্য রিমালে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে গিয়ে যে সকল সহকর্মিরা মৃত্যু বরণ করছে তাঁরা হলো, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লিটন দাস, লাইনম্যান গ্রেড-১, মোঃ হাসনাইন, লাইনক্রু লেভেল- ১, নেত্রোকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোঃ মানিক মিয়া, লাইন শ্রমিক, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মোঃ মামুন মিয়া বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার মোঃ মহসিন আলী এবং নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ
সমিতির মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার মোঃ সরোয়ার হোসেন মুন্সী হিট স্ট্রোকে মারা যান। ইহা ছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অসংখ্য কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্মকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) বিভিন্ন সময়ে এগুলোকে নিছক একটি দুর্ঘটনা হিসাবে চালিয়ে দিলেও বাস্তবে এটি বিআরইবি কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে শোক সভায় বক্তব্য রাখা হয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ব্যাপক জনবলের ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎকর্মীদের গড়ে ১৫-১৬ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা, পরিচালনার অভাব ও মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতার অভাবে বাস্তবতার আলোকে লোকবলের অভাবে লাইনক্রুদের শিফটিং ডিউটিসহ নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
এ সব ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অধিকার আদায় সহ সকল কর্মসুচী পালনে সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারিরা একট্রা হয়েছেন।