জব্দকৃত ২ লিটারের ৩০ বোতল সয়াবিন তেল জেলার আশাশুনি উপজেলার ০২ নং বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা টিসিবির ডিলার মিঠুর কাছ থেকে গত মাসের রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে কিনেছিলেন ঐ গ্রাম পুলিশ মিয়ারাজ হোসেন সবুজ- এমনটাই দাবি তার। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশকে আটক না করে ছেড়ে দেওয়ায় সাধারণ জনমনে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয়দের দাবী এর সাথে অন্য কোন রাঘববোয়াল জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের ধারনা। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি আলম নুর, টিসিবির তেল জব্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ০৪ টার দিকে বোতলজাত তেল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গ্রাম পুলিশ মিয়ারাজ হোসেন সবুজ বাজারের দিকে রওনা হয়। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয় এক ব্যক্তি ইউএনও কে খবর দেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গ্রাম পুলিশ মিয়ারাজ হোসেন সবুজের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরের ভিতর ড্রামের মধ্যে থেকে ২ লিটারের ১৯ বোতল এবং চৌকির নিচে কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ১১ বোতল সহ ১৬ টি খালি বোতল পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মিয়ারাজ হোসেন সবুজ জানিয়েছেন জব্দকৃত ২ লিটারের ৩০ বোতল সয়াবিন তেল তিনি জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা টিসিবির ডিলার মিঠুর কাছ থেকে ক্রয় করেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, টিসিবির ডিলার মিঠু আর চেয়ারম্যানের সম্পর্ক দহরম মহরম। এজন্য এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়না। মাননীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সাধারণ জনগণ।
তবে টিসিবির ডিলার মিঠু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রাম পুলিশ মিয়ারাজ হোসেন সবুজের কাছে কোন তেল বিক্রি করিনি। আমাকে ফাঁসাতেই আমার নাম বলছেন।