জাতীয় দলের সাবেক কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানা একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মাতৃতের স্বাদ গ্রহণ করার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মা সন্তান পেল না তার মায়ের বুকের দুধ খেতে জন্ম নেয়া সন্তানটি সুস্থ থাকলেও দুই পরিবারের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে কোথায় মানুষ হবে রাজিয়া সুলতানা কে কেন সন্তান প্রসবের সময় ভালো কোন নার্সিংহোম হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে নেওয়া হয়নি রাজীয়ার স্বামী মোঃ ইয়ান রহমান তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম কাপ্তাই গ্রামে অন্যদিকে রাজিয়ার বাপের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ মৌতলা গ্রামে।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানা সন্তান প্রসব জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করায় শুক্রবার( ১৫ মার্চ) জাতীয় মহিলা দলের সাবেক জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানের শিশু সন্তানের জন্য সাতক্ষীরা জেলার আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক বাংলাদেশ অলিম্পিক ফোরামের সহ-সভাপতি সেক বশির উদ্দিন মামুন এর পক্ষে রাজিয়ার পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা ও কালিগঞ্জ থানার ভূতপূর্ব অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান কর্তৃক শিশু সন্তানের জন্য অন্যান্য উপহার সামগ্রী প্রদান করলেন ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সাবেক ফিফা রেফারি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তোয়েব হাসান বাবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় বর্তমান ফুটবল কোর্স সাতক্ষীরা ইমাদুল হক খান, ফিফা অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি শেখ ইকবাল আলম বাবলু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম আহমাদুল্লাহ বাচ্চু স্থানীয় ইউপি মেম্বার শেখ খলিলুর রহমান, রাজিয়ার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াম রহমান, তার ভাই মোঃ সিয়াম রহমান, তার মা রোকেয়া বেগম রাজিয়া সুলতানার মা আরিম বিবি, রাজিয়ার ভাই ফজলুর রহমান প্রমূখ। সহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার রাজিয়া কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষীনাথপুর গ্রামে গ্রামে তার বাবার বাড়িতে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবারের পক্ষ থেকে ওই রাতে এম্বুলেন্স যোগে কালিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যান ।ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক। জানা গেছে ২০২০ সালে রাজিয়ার সাথে বিবাহ হয় চট্টগ্রামের কাপ্তাই গ্রামের ফুটবল খেলোয়াড় মো ইয়াম রহমানের সাথে রাজিয়ার মা আমিরন বিবি জানান রাজিয়া আগে থেকে পরিবারের কাছে জানিয়েছিল তাকে যেন সন্তান প্রসবের সময় সিজার করা না হয় কারণ সিজারিং করলে সে হয়তো আর ফুটবল খেলা করতে পারবে না তার কথামতো বাড়িতেই তার সন্তান নরমাল ভাবেই প্রসব হবে সেই অনুযায়ী বুধবার রাত দশটার সময় রাজিয়া সুলতানা একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় ওই রাতেই রাজিয়ার রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মধ্যেই তার মৃত্যু হয় জাতীয় দলের কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় রাজিয়ার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনের সকলে মাঝে গভীর শোক বিরাজ করছে।