সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার হাট বাজারে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নিন্মবিত্তের মানুষের নাভিশ্বাস। রমজানকে পূজি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা অর্জনের ধান্দা।
প্রয়োজন যথাযথ তদারকী ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার। পবিত্র মাহে রমজানের প্রথমদিনেই উপজেলার কৃষ্ণনগর ও বাঁশতলা বাজারে বিগত দুই দিনের তুলনায় নিত্য পণ্যের দাম অনেকগুন বেড়েই চলেছে। এরপরেও সাধারণ মানুষ দুশ্চিন্তায় আরও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কায়। রোজা সামনে রেখে বরাবরের মতো এবারও অতি মুনাফার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে নিত্য পণ্যের বাজারে। সংকট না থাকলেও রোজাদারদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণোর দাম এরই মধ্যে ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের দাবী বাজার মনিটরিং জোরদার না করলে রোজার মাসে তাদের কষ্ট আরো দ্বিগুণ হবে।
উপজেলার কৃষ্ণনগরের বালিয়াডাঙ্গা বাজার, কালিগঞ্জ বাজার ও বাঁশতলা বাজারে ঘুরে দেখাগেছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যের মূল্য। এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। দিনমজুর সাধারণ মানুষ এবং মধ্যবিত্ত মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চাকরিজীবীরাও আয়ের সাথে ব্যয়ের যোগান দিতে পারছেন না। এদিকে দাম কমানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমালেও এর কোন প্রভাব পড়ছে না তৃনশূল বাজারে।তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে তরিতরকারিসহ নিত্যপণ্যের দাম ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৩০/৩২ টাকা, পটল ৮০ টাকা, খিরাই ৮০/৯০ টাকা, কাঁচকলা ২৬/৩০ টাকা, প্যারিস ৩৪০/৩৭০ টাকা, পল্টি মুরগি ১৯০/২১০টাকা পাঙ্গাস মাছ ২২০ টাকা, পাকা কলা ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাহিরে ছোলা, চিনি, মিছরি, ট্যাঙ, রূহ আফজাসবজি কিনতে আসা ক্রেতাগন বলেন, কয়দিন আগে সবজির দাম কম ছিল এখন রোজা শুরু হয়েছে আবার সকল নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। আয়ের সাথে ব্যায় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে জরুরীভাবে বাজার মনিটরিং করার দাবী উঠেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।