শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করলেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি’র  তৃষ্ণার্তদের মাঝে সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ সাতক্ষীরা শহরের ফারাজানা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসুতি মায়ের মৃত্যু সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫ এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির সাতক্ষীরায় ধান ফসলের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জি: শামস্ ইশতিয়াক শোভন ফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. মাহমুদুল হাসান পলাশ শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হলেন প্রধান শিক্ষক মোমিনুল শ্যামনগরে এক নারীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে বিক্রির অভিযোগ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের নবনিযুক্ত ৩ বিচারপতির শ্রদ্ধা

সাতক্ষীরায় এবার কুলের বাম্পার ফলন

✍️রঘুনাথ খাঁ📝জেষ্ঠ প্রতিবেদক☑️
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরায় এবার কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ জেলার ৮৩০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, থাই আপেল, বাউ কুল, আপেল কুল, তাইওয়ান কুল, নারিকেলি ও ঢাকা নাইনটিসহ বিভিন্ন জাতের কুল। এতে জেলায় এবার ১০ হাজার মেট্রিক টন কুল উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার কুল স্বাদে, গুণে ও মানে অনন্য হওয়ায় এর চাহিদা রয়েছে সারা দেশেই। একই সঙ্গে কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সাতক্ষীরার চাষিরাও ঝুঁকছেন বাণিজ্যিক কুল চাষে। ফলে গত চার বছরের ব্যবধানে জেলায় ৩০ শতাংশ জমিতে কুলের আবাদ বেড়েছে। এতে একদিকে যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছে সাতক্ষীরার অর্থনীতি, অন্যদিকে কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে।

সূত্রটি আরো জানায়, সাতক্ষীরার মাটি কুল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। মূলত ২০০০ সালের পর থেকে এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালে যেখানে জেলার ৫৫০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছিল, সেখানে চলতি মৌসুমে ৩০ শতাংশ বেড়ে ৮৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

সাতক্ষীরার তালা, কলারোয়া, দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন এলাকায় গেলে দেখা যায়, সারি সারি কুলের বাগান। এসব বাগানের গাছগুলোতে যেন উপচে পড়ছে নানা জাতের কুল বরই। কুলের ভারে নুয়ে পড়ছে ডাল। এদিকে বাজারেও উঠেছে নানা জাতের কুল।

সাতক্ষীরা তালা উপজেলার নগরঘাটার কুল চাষি পাঞ্চাব আলী বিশ্বাস জানান, এ বছর আট বিঘা জমিতে কুল আবাদ করেছেন তিনি। এতে তার প্রায় ছয় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে কুল বাজারজাত করতে শুরু করেছেন তিনি। ১০ লাখ টাকার বেচাকেনার প্রত্যাশা তার।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে নারকেলি কুল ১৩০ টাকা দরে ঢাকার ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া আপেল কুল ও বাউ কুলসহ অন্যান্য কুল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাতক্ষীরার কয়েকজন কুল চাষি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে কুল চাষ করতে খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তারা।

পাটকেলঘাটা থানার শাকদাহ গ্রামের কুল চাষি আজিজুর রহমান জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে কুল চাষ করছেন তিনি। তার সাত বিঘার বাগানে থাই আপেল, বল সুন্দরী, বিলাতি, কাশ্মীর আপেল, দেশি আপেল, নারকেলি ও টক বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের ৫০০টি কুল গাছ রয়েছে। এসব গাছে গত কয়েক বছর ধরে কুল উৎপাদন হচ্ছে। তবে মাছের ঘেরের ভেড়িতে কুলচাষ নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।

সাতক্ষীরার বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারে বিলাতি কুল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং আপেল কুল ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আব্দুল হাই নামে এক ক্রেতা বলেন, সাতক্ষীরার কুল খুবই নাম করা। তবে বেশি দামের আশায় অনেক ব্যবসায়ী কুল ভালোভাবে পাকার আগেই বিক্রি করছেন। বিশেষ করে আপেল কুলগুলো পাকা না ফুলো তা সাধারণ ক্রেতারা বুঝতে পারেন না। এতে অনেক ক্রেতাই উৎসাহ হারান।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমের মতোই সাতক্ষীরার কুলের নাম দেশজুড়ে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কুল চাষের জন্য অনুকূল হওয়ায় এর চাষাবাদ বাড়ছে। এবার ৮৩০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমেও সাতক্ষীরায় কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে চাষিরা বেশ লাভবান হবেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩১ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৫০ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!