সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের করা মিথ্যে চাঁদাবাজীর মামলার দায় থেকে স্বামীকে অব্যহতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এক গৃহবধূ।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার খমড়ি গ্রামের আমির আলী গাজীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার স্বামী আমির গাজী ও শশুরদের সঙ্গে একই উপজেলার হরিখালী গ্রামের হামিজউদ্দীন গাইন ও তার ছেলে আজগর গাইনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। হামিজউদ্দীন গংরা অত্যান্ত অর্থশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় আমার স্বামীর পরিবারের লোকদের বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা করতে থাকে। উপায়ন্ত না পেয়ে আমরা সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত উক্ত সম্পত্তিতে তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে হামিজউদ্দীন ও আজগর গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং যেভাবে হোক আমাদেরকে সর্বশান্ত করে আমাদের দখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই জের ধরে তারা আমার স্বামী, শশুর, দেবর এবং শশুরের ভাইদের নামে গত ৯ অক্টোবর একটি মিথ্যে চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করে। ওইদিন মিমাংসার কথা বলে আমার স্বামী আমির গাজীকে থানায় ডেকে নিয়ে ওই মিথ্যে চাঁদাবাজীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। আজগর গংরা আদালতে কোন কাগজ উপস্থাপন করতে না পেরে জোর পূর্বক আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে আমারা স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছেন।
মর্জিনা খাতুন আরো বলেন, আমরা অত্যান্ত গরিব ও দ্বীন মজুর শ্রেণীর মানুষ। আমরা স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিয়ে উপার্যিত পয়সা দিয়ে কোন রকমে সংসার নির্বাহ করে। আমার স্বামী ও তার পরিবরের কেহ চাঁদাবাজী বা কোন অপরাধের সাতে জড়িত না।
তাছাড়া কোন পিতা তার সন্তান ও ভাইদের সাথে নিয়ে চাঁদাবাজীর মত ঘৃণ্য অপরাধ করতে পারে না। হামিজউদ্দীন গংদের দায়ের করা চাঁদাবাজীর মামলায় বয়োবৃদ্ধ ও কিশোরকে আসামী করা হয়েছে। আমার শশুর ও তার ভাইরা এতই বৃদ্ধ যে বয়সের ভারে ঠিকমত চলাফেরা করতে পারে না। তারা কিভাবে চাঁদাবাজী করতে গেল এটা সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে বোধগম্য নয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, উক্ত মামলার যে সময় ও ঘটনাস্থল উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে এধরনের কোন ঘটনা আদৌ ঘটেনি। কাজেই হামিজউদ্দীন গংদের দায়ের করা চাঁদাবাজীর মামলাটি যে সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মিথ্যে মামলায় আমার স্বামী আমির আলী গাজী কারাগারে আটক থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমরা অত্যান্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। তিনি মিথ্যে চাঁদাবাজীর মামলার দায় থেকে স্বামী আমির গাজী ও পরিবারের সদস্যদের অব্যহতি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি:দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।