পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার বালিথায় কিশোর ইসরাফিলকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার দুপুরে তিন জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন গুরুতর আহত ওই কিশোরের বাবা মুনছুর আলী। তবে, এ মামলায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হননি।
মামলার আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার বালিথা সরদার পাড়া গ্রামের আলমামুন মোড়লের ছেলে আলমগীর মোড়ল (২৬), আলমামুন মোড়লের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৬) ও একই এলাকার মৃত গহর আলী মোড়লের ছেলে জালাল মোড়ল (৪৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বালিথা গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে কিশোর ইসরাফিল (১৪) গত ১২ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তার উপর আসা মাত্রই পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তাকে ধরে নিয়ে ১ নং আসামী আলমগীরের বাড়ীর পিছনে বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। ১ নং আসামী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ইসরাফিলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় ২ নং আসামী তাসলিমা ও ৩ নং আসামী জালাল তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন অংশ থ্যাতলানো ও ফোলা জখম করে। এ সময় তার আতচিৎকারে এ মামলার সাক্ষী আলাউদ্দীন মোড়ল এসে আসামীদের হাত থেকে ইসরাফিলকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায় ও স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করায়। পরে খবর পেয়ে ইস্রাফিলের বাবা মুনছুর, মা জামিলা ও বোন রহিমা সেখানে যায়। এ সময় ২ ও ৩ নং আসামী জামিলা ও রহিমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং তাদের জুতা দিয়ে পিটায় ও মাথার চুল টানা হেচড়া করে। ৩ নং আসামী জামিলার পরনের কাপড়চোপড় টানা হেচড়া করে ম্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় সকল আসামীরা তাদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এ মামলার অন্যান্য সাক্ষী কবির হোসেন, শাহিন হোসেন ও সাহেব আলী মিস্ত্রীসহ অনেকেই ঘটনাটি এ সময় দেখেন। এরপর সাক্ষীদের সহায়তায় এ মামলা বাদী মুনছুর তার ছেলে ইস্রাফিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে স সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী মুনছুর আলী এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তাপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বোরহান উদ্দীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এখনও কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। তবে, আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।