সাতক্ষীরার পারুলিয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় শরীকের জমি দখল নিয়েছে প্রতিপক্ষ। বাঁধা দিলে হত্যার হুমকিসহ জেল খাটানোর ভয় দেখানো হচ্ছে, এমনই অভিযোগ বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন দেবহাটার পারুলিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেন। তিনি লুৎফর রহমান সরদারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারুলিয়া মৌজার জে, এল নম্বর ২৫, হাল জরিপ ৮৬২২ দাগে ৮৭ শতক জমি রয়েছে। জমির অর্ধেক মালিক আমি ও আমার ছোট ভাই। বাকী অর্ধেক জমি সাড়ে ৪৩ শতকের মালিক শাহাদাত হোসেনসহ তার ভাইয়েরা। নিয়ম অনুযায়ি জমিটি লম্বা লম্বিভাবে ভাগ হয়েছে। কিন্তু আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বিরু, তার ভাই সাউথ ইষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা তাহাজ্জত হোসেন হিরু ও কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষক ইমদাদ হোসেন নিয়ম না মেনে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে মধ্যযুগীয় কায়দায় জমির সামনের অংশ দখল করে নিয়েছে। গত ১২ অক্টোবর থেকে আজ অবধি তারা বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জমিতে ঘেরা বেড়া দিচ্ছে। বে-আইনিভাবে জমি দখলের প্রতিবাদ করলে তারা আমাদেরকে গুলি করে হত্যা করাসহ জেল হাজত খাটানোর ভয় দেখাচ্ছে। তাদের হুমকি ধামকীতে ইতোমধ্যেই আমার ছোট ভাই মিশন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সাফায়েত হোসেন বাচ্চু স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে সখিপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে ১৮৬৩ নং দলিলে সাড়ে ৪৩ শতক জমি আমার পিতা আমাদের দুই ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। সেই থেকে আমরা দুই ভাই ওই জমি ভোগদখল করে আসছি। আর বাকী সাড়ে ৪৩ শতক জমি আমার চাচা আতিয়ার রহমান ভোগ দখল করে আসেন। কিন্তু আপোষ না করে নিয়ম বর্হিভুতভাবে চাচার সন্তানেরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জমির সামনের অংশ ঘেরা বেড়া দিয়ে দখল করে চলেছে। বিষয়টি স্থাণীয় প্রশাসনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানানো হলেও তিন দিনে তার কোন সামধান হয়নি। তিনি এ বিষয়ে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।