গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রচারের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নড়েচড়ে বসে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-সচিব মল্লিকা খাতুনের স্বাক্ষরিত ১১ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ লিয়াকত হোসেনকে ডিমোশন দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে এবং একই আদেশে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ খান গোলাম মোস্তফাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের ৮১ জন ডাক্তারের মধ্যে ৭৪ জন অনুপস্থিত থাকেন। অধ্যক্ষ প্রতি সপ্তাহে সরকারি তেল খরচ করে বরিশালে যান। সেখান থেকে বিমানযোগে ঢাকায় যান ও পরের সপ্তাহে আবার বিমানযোগে বরিশালে আসেন। সেখান থেকে সরকারি গাড়ির তেল খরচ করে গোপালঞ্জে আসেন। করোনা শুরু হওয়ার পরেই তিনি গোপালগঞ্জে করোনা পরীক্ষার আরটিপিসিআর মেশিন আনতে অনীহা প্রকাশ করেন। সব কিছু মিলে গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়েছিলো। এছাড়া আউটসোর্সিং নিয়োগে অনিয়ম ও শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের দুই কর্মকর্তার অঢেল সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক।
বঙ্গবন্ধু’র জন্মভূমি, গর্বিত এই গোপালগঞ্জ জেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যেন মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জেলায় স্থাপিত সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে সহজে পেতে পারেন সেদিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ অভিজ্ঞ মহলের।